ফেসবুক লাইভে ৪ মাঝিকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন রোহিঙ্গা যুবক!
ফেসবুক লাইভে এসে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার মাঝিকে খুনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন মোহাম্মদ হাশিম (২০) নামে এক যুবক। এতে দেখা যায়,তিনি একটি অস্ত্র নিয়ে ভিডিওতে এসে চার মাঝির মধ্যে কাকে কীভাবে হত্যা করেছিল তার বর্ণনা দিচ্ছেন।
মোহাম্মদ হাশিম লাইভে এসে নিজেকে মাহাজ নামের একটি ইসলামী সংগঠনের পরিচয় দিয়ে জানান,তার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। যার জন্য আমাদের দেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা। আমাদের মূল কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করে,তাদের হত্যা করা। সম্প্রতি ৫৬ দিনের মধ্যে আমরা তিন মাঝিসহ এই স্বেচ্ছাসেবককে হত্যা করেছি।
লাইভে খুনের শিকার মাঝিদের নামও বলেছেন এই যুবক। তিনি বলেছেন,১৮ নং ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর,৭ নং ক্যাম্পের ইসমাঈল,কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে হত্যা করেছেন।
একইভাবে লাইভে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজ সংগঠনের চার মুখপাত্রের নামও বলেন মোহাম্মদ হাশিম। তারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন,রহমত উল্লাহ,হেড মাঝি ভুইয়া, মৌলভী রফিক। এই চারজন এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন বলে জানান এই রোহিঙ্গা যুবক।
লাইভে মোহাম্মদ হাশিম আরও জানান,তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই এই খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান।
এদিকে মোহাম্মদ হাশিমের সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এই ভিডিও প্রচারের পর থেকে ক্যাম্পে মাঝিসহ নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মাহাজ নামে সংগঠনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব রকমের অপকর্ম করে থাকে। তারা ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতা করে। তাদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন,ভিডিওটা আমরা দেখেছি। এই যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছে,তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় সব সময় প্রস্তুত। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/এআর)