থাইল্যান্ডে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার গুলি, নিহত অন্তত ৩৪
থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের শিশুদের ডে কেয়ার সেন্টারে বৃহস্পতিবার গণগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, নিহতদের মধ্যে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ই অন্তর্ভুক্ত ছিল। বন্দুকধারী একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সমস্ত সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে এবং অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার জন্য সতর্কতা জারি করেছেন।
ডেপুটি জাতীয় পুলিশ প্রধান পোল লেফটেন্যান্ট জেনারেল তোরসাক সুকভিমল প্রাথমিক বিবরণ প্রকাশ করেছেন। বিবরণে তিনি বলেন, না ক্লাং জেলার উথাই সাওয়ান তাম্বন প্রশাসন সংস্থার পরিচালিত শিশু যত্ন কেন্দ্রে প্রাক্তন পোল সিপিএল পানিয়া খামরাব গুলি চালালে ৩৪ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ২২ শিশু ছিল।
তিনি বলেন, অন্তত আর ১২ জন আহত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর।
তবে হামলাকারী কি কারণে এমনটি ঘটিয়েছেন তার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছুই জানা যায়নি।
ব্যাংকক পোস্টের খবরে বলা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, সাবেক পোল সিপিএল পান্যা (৩৪) চলতি বছরের ১৫ জুন মাদক রাখার দায়ে পুলিশ বাহিনী থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ স্বীকারও করেছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পর বন্দুকধারী পিকআপে করে পালিয়ে যায়। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো তার ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর বন্দুকধারী নিজেকে গুলি করে হত্যা করেছে।
নিহতদের মধ্যে তার স্ত্রী ও সন্তানও রয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
জাতীয় পুলিশ প্রধান পোল জেনারেল দামরংসাক কিত্তিপ্রপাস নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় থাইল্যান্ডে বন্দুকের মালিকানার হার বেশি কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নেই। এর মধ্যে বেশিরভাগই বিবাদ-বিধ্বস্ত প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বছরের পর বছর ধরে চোরাই পথে সীমান্ত পেরিয়ে আনা হয়েছে।
দেশটিতে গণগুলির ঘটনা বিরল হলেও ২০২০ সালে সম্পত্তির চুক্তিতে ক্ষুব্ধ একজন সৈনিক চারটি স্থানে বিস্তৃত তাণ্ডব চালায়। ঘটনায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছিল।
(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/এসএটি)