প্রথম দফায় সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশি ৩০ কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১১:২২ | প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১১:১১

বোয়েসেলের মাধ্যমে প্রথম দফায় বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশি ৩০কর্মী। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ৩০ জন কর্মী নিয়ে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের মিনিস্টার (লেবার) মো. নাজমুস সাদাত সেলিম।

প্ল্যান্টেশন সেক্টরে কাজের উদ্দেশ্যে এই কর্মীদের পাঠিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল। এরই মধ্যে এক হাজার কর্মীর চাহিদা এলেও প্রাথমিকভাবে অল্প সংখ্যক কর্মী তিন দফায় মালয়েশিয়ায় আসবেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়েসেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অতিরিক্ত সচিব ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ জনকে পাঠিয়েছি। পর পর তিন দিন এই ফ্লাইটগুলো মালয়েশিয়ায় যাবে। আমরা এক হাজারের মতো ডিমান্ড পেয়েছি। আরও ডিমান্ড এলে আমরা সবাইকে পাঠাতে পারবো।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় বাংলাদেশ থেকে বোয়েসেলের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। এরই মধ্যে ছয়টি কোম্পানি থেকে প্রায় এক হাজার কর্মীর চাহিদা পাওয়া গেছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডাটাবেজ থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন জেলায় জবফেয়ারের মাধ্যমে কর্মীর তালিকা সংগ্রহ করার মাধ্যমে ৭০০ কর্মীকে বাছায়পূর্বক প্রস্তুত করা হয়েছে।

‘স্পেশাল ওয়ান-অব রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় বোয়েসেলের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর খরচ প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্ল্যান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্ল্যান্টেশন (ইউপি) থেকে এরই মধ্যে ৫৫০ জন কর্মীর চাহিদা পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ায় যাওয়া সংক্রান্ত সব ব্যায় বহন করবে ইউনাইটেড প্ল্যান্টেশন কোম্পানিটি। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মীরা মালয়েশিয়ায় আসবেন।

এমনকি বাংলাদেশ অংশেও যেসব খরচ আছে সেটিও কোম্পানি বহন করছে। আবার বাড়ি থেকে বোয়েসেল অফিসে আসার খরচও কিছু কোম্পানি দিয়ে দিচ্ছে।’

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল অপারেশন্স ইনচার্জ খায়ের রজমান মোহাম্মদ আনোয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, এককালীন ব্যবস্থা হিসেবে সরকার থেকে সরকার চুক্তির অধীনে এ কর্মী মালয়েশিয়ায় আসবে।

ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ইতোমধ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির কোনও সম্পর্ক নেই। মূলত উচ্চ অভিবাসন খরচ এড়াতে মালয়েশিয়ান নিয়োগ কর্তাদের উৎসাহে এমন ব্যবস্থায় সরকার সম্মতি দিয়েছে।

ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার আমাদের প্রথম ফ্লাইট মালয়েশিয়া গিয়েছে। এখানে বিনা খরচ বলতে আসলে খরচ কিন্তু আছে, যা কর্মী বহন করছেন না। খরচ দিচ্ছে নিয়োগ করা কোম্পানি। অর্থাৎ কর্মী বিনা খরচে যাচ্ছেন। এমনকি বাংলাদেশ অংশে যেসব খরচ আছে সেটিও কোম্পানি দিচ্ছে। আবার বাড়ি থেকে আমাদের অফিসে আসার খরচও কিছু কোম্পানি দিয়ে দিচ্ছে। ’

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :