হাকালুকি হাওরে বিষ টোপ দিয়ে আবারও অতিথি পাখি নিধন
দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে হাকালুকি হাওরে অতিথি পাখি শিকার অব্যাহত আছে। রোববার হাওরের জুড়ী উপজেলায় তুরল বিল থেকে আরও শতাধিক পাখি নিধন করা হয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হাওরপারের জুড়ী উপজেলার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , হাওর শুকিয়ে যাওয়ায় শীত প্রধান বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথি পাখিরা বিলে বিলে খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে । আর এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে ও সেদ্ধ করা ধানের সঙ্গে এক ধরনের বিষ মিশিয়ে ‘বিষটোপ’ তৈরি করে বিভিন্ন বিলের পাড়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে । পাখিরা খাবার ভেবে প্রতিনিয়ত এসব টোপ খেয়ে মারা যাচ্ছে । এছাড়া পেশাদার পাখি শিকারিরা শিকার করা এসব পাখি লুকিয়ে আশপাশের বিভিন্ন হাটবাজার ও বাড়ি বাড়ি ফেরি করে চড়া দামে বিক্রি করছে ।
স্থানীয় লোকজন জানান , রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে হাকালুকি হাওরের জুড়ী উপজেলার উজান তুরল বিলের পাড়ে ‘বিষটোপ’ দিয়ে শতাধিক পাখি নিধন করেছে। জুড়ী উপজেলার বাছিরপুর এলাকার হোসেন মিয়া এই পাখিগুলো শিকার করে নিয়ে যায়।
তারা আরও জানান, প্রায়ই ভোরের দিকে মাস্ক পরে আসা কিছু লোক হাওরের বিভিন্ন বিলের পাড়ে ফাঁদ পেতে রাখেন। আবার কেউ বিষটোপ ছিটিয়ে ওত পেতে থাকেন। পাখি শিকারের পর বস্তায় ভরে সটকে পড়েন। শিকারে বাধা দিলে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে দাবি করেন স্থানীয় কৃষকেরা। এ কাজে জড়িত লোকজনের বাড়ি জুড়ীর বেলাগাঁও, নয়াগ্রাম ও বাছিরপুর এবং পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার হাওর-সংলগ্ন ভোলারকান্দি ও আজিমগঞ্জ এলাকায়।
হাকালুকি হাওরে এর আগে গত ২৬ নভেম্বর একই উপজেলায় গৌড়কুড়ি বিলে ফাঁদ পেতে অর্ধশতাধিক পাখি নিধন করা হয়। এ সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ১৫টি পাখিসহ দুজন পাখিশিকারিকে আটক করে বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে লিখিত মুচলেকা দিয়ে শিকারিরা ছাড়া পান।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা সোমবার মুঠোফোনে এ বিষয়ে ঢাকা টাইমস কে জানান আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আজ প্রথম অফিস করছি। সকালে অফিসে আসার পর পাখি শিকারের বিষয়টি জেনে এ বিষয়ে যেকোনো তথ্য পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/এআর)