কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ‘জাঁত’

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ)
  প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৪২| আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৪৫
অ- অ+

উত্তরের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। এক সময় ফসলে পানি সেচের যন্ত্র ছিল জাঁত। যা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে।

জমিতে পানি সেচের অন্যতম মাধ্যম ‘জাঁত’ এর অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নাম থাকলেও উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা একে জাঁত নামেই চেনেন। এক সময় এই জাঁতের ব্যবহার ছিল গ্রাম-বাংলার প্রায় প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে।

উপজেলার বিভিন্ন প্রবীণ লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতীতে ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো। নদী, খাল-বিল বা জলাশয় থেকে টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হতো। আর উঁচু-নিচু জমিতে ‘জাঁত’ দিয়ে পানি সেচ দেওয়া হতো।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুস ছামাদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ক্রস আকারে দুটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে এর সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়। এক অংশে জাঁতের মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে একসঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়ে যায়। আধুনিক শ্যালো, ডিপ, এলএলপি প্রভৃতি সেচযন্ত্র আসায় জাঁতের ব্যবহার এখন আর নেই।

উপজেলা বজ্রপুর গ্রামের কৃষক মজিদ মন্ডল ঢাকা টাইমসকে বলেন, নদী-নালা ও বিলে একসময় সারা বছর পানি থাকত। এসব নদী-নালা ও বিল থেকে জাঁতের সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো। এখন নদী হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি।

আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, বাংলার কৃষির আদি ঐতিহ্য অনেক কৃষক এখনও শখের বসে ধরে রেখেছেন। শখের বসে এ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকের আগ্রহ ও ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।

(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/এসএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জ ইস্যুতে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সহযোগিতার আহ্বান সেনাবাহিনীর
যাত্রাবাড়ীতে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার, পিকআপ জব্দ
নির্বাচনকে ব্যাহত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি পরিকল্পিত: বিএনপি
কক্সবাজারের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন আটক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা