মির্জাপুরে সড়কে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৪৪| আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৫৬
অ- অ+

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা-ধানতারা আঞ্চলিক সড়ক পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগে উঠেছে। সড়কের দেওহাটা-থেকে কোর্টবহুরিয়া পর্যন্ত ২৫৫০ মিটার সড়ক পাকাকরণ কাজে সিমেন্টের পরিমাণ কম দিয়ে নিম্নমানের খোয়া ও বালু বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেওহাটা-ধানতারা-ধামরাই সড়কের দেওহাটা হতে বিলগজারিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটারের আঞ্চলিক সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক নির্মিত হলে জেলার কয়েকটি উপজেলা ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার যানবাহন বিকল্প পথে কমসময়ে রাজধানী ঢাকায় যাতাযাত করতে পারবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান জানান, প্রায় ২০ কোটি টাকায় সড়কটি সংস্কারের জন্য দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পেয়েছে। ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে দেওহাটা-থেকে কোটবহুরিয়া পর্যন্ত ২৫৫০ মিটার অংশের কাজ পেয়েছে টাঙ্গাইলের ইউনুছ অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। তবে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন নাভিলা এন্টারপ্রাইজ নামে টাঙ্গাইলের অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতেমধ্যে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪ মিটার আসিসির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

অপরদিকে কোর্টবহুরিয়া থেকে ধানতারা পর্যন্ত ১১ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার ২৪ টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার কাজের দায়িত্ব পেয়েছে এমএসসিএমআই-ইইসিসি (জেভি) নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। তবে এই অংশের ঠিকাদার এখনও কাজ শুরু করেনি।

এদিকে দেওহাটা অংশের সিসি ঢালায় কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ব্যবহারের পাশাপাশি সিমেন্টের পরিমান কম ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। নিম্নমানের কাজ করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

কোর্টবহুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছানোয়ার হোসেন ও দেওহাটা গ্রামের নজরুল ইসলামসহ গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, ১২ বস্তা খোয়া ৬ বস্তা বালুর মধ্যে এক ব্যাগ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। সকালে ঢালায় করেলেও বিকালেও তা জমেনি।

বিকালে সরেজমিনে কোর্টবহুরিয়া অংশে গিয়ে ঢালায় কাজে সিমেন্টের পরিমাণ কম ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের সত্যতা পাওয়া গেছে। ঢালাই কাজ চললেও সেখানে প্রকৌশল অফিসের কাউকে দেখা যায়নি।

নির্মাণ শ্রমিক জগদীস ও জনি মিয়াও ঠিকাদারের নির্দেশে সিমেন্টের পরিমাণ কম দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা ১২ বস্তা খোয়া, ৬ বস্তা বালুর মধ্যে ১ বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার করছেন।

সাইটের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভিলা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের খামখেয়ালিতে এই অংশে সিমেন্টের তুলনায় বালু ও খোয়ার ব্যবহার বেশি হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে বারবার চেষ্টা করেও নাভিলা এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহেল রানার সঙ্গে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের নির্মাণকাজে কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারকে নোটিশ করে যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কড়া বার্তা দিতেই ভাঙা হয়েছে ৩টি রিকশা, ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের উদ্যোগ ডিএনসিসির
জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আ.লীগ নিষিদ্ধ জরুরি ছিল: প্রেস সচিব
ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে খাবারে ভিন্নতা আনতে হবে
ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি আকাশ গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা