বাড়ির ছাদে ওঠাই কাল হলো ফিলিস্তিনির, প্রাণ গেলো ইসরায়েলের গুলিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৯ | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪১
প্রতিকী ছবি

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের একটি শরণার্থী শিবিরে চলছিল ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান। তাই দেখতে পরিবারের সঙ্গে ছাদে উঠেছিলেন আট সন্তানের পিতা সমীর আসলান (৪১)। সেটাই তার জন্য কাল হলো। অঘোরে প্রাণটা গেলো ইসরায়েলি স্নাইপারের হাতে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, সমীর আসলানকে বৃহস্পতিবার ভোরে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মৃত ঘোষণা করেছে। তাকে কালান্দিয়া শরণার্থী শিবিরে থাকা অবস্থায় বুকে গুলি করা হয়েছিল।

কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, আট সন্তানের পিতা আসলান তাদের বাড়ির ছাদে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অভিযানটি দেখছিলেন। এ সময় একজন ইসরায়েলি স্নাইপারের লক্ষ্যবস্তু হন তিনি।

তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে রামজিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করার প্রায় ১০ মিনিট পর তাকে হত্যা করা হয়।

শিবিরটি পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা জাকারিয়া ফায়ালেহ বলেছেন গ্রেপ্তারের পর, ‘পুরো পরিবার ছাদে উঠেছিল কি ঘটছে তা দেখার জন্য যখন তারা উচ্চস্বরে চিৎকার শুনেছিল এবং তাদের অন্য এক ছেলে আহত হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমীর, তার স্ত্রী, তিন মেয়ে এবং বেশ কয়েকজন ছেলেসহ ছাদে ছিলেন যখন একজন ইসরায়েলি স্নাইপার তার পরিবারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং সমীরকে সরাসরি বুকে গুলি করে। তার ছেলেরা তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেনা বাহিনী তাদের থামিয়ে সমীরকে মাটিতে ফেলে দেয়। তারা তাকে কিছুক্ষণের জন্য মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছিল। কিছুক্ষণ পর তারা আমাদের তাকে আবার নিয়ে যেতে দেয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর সাথে সাথে সে মারা যায়।’

তাকে মাটিতে ফেলে রাখার বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে পেরেছে আল-জাজিরা।

ফায়ালেহ এবং প্যালেস্টাইন প্রিজনারস সোসাইটি (পিপিএস) অনুসারে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযানের সময় ক্যাম্প থেকে কমপক্ষে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত ৩টা অভিযান শুরু হয় এবং এতে কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান এবং বিশেষ বাহিনী অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাথর নিক্ষেপকারী যুবকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্যাম্পে অভিযানটি তাদের ‘ব্রেক দ্য ওয়েভ’ প্রচারণার অংশ হিসেবে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, অভিযানের সময় ‘সন্দেহভাজনরা বাড়ির ছাদ থেকে বাহিনীকে এমনভাবে পাথর এবং সিমেন্টের ব্লক ছুঁড়েছে যা যোদ্ধাদের জীবনকে বিপন্ন করে, যারা বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করে এবং গুলি করে প্রতিক্রিয়া জানায়। একটি আঘাত সনাক্ত করা হয়েছে তবে কারো মৃত্যু হয়নি।

কালান্দিয়া এলাকা জেরুজালেম গভর্নরেটের অধীনে পড়ে, কিন্তু ইসরায়েলের পৃথকীকরণ প্রাচীর দ্বারা এটি শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। ২০০৩ সালে এই প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। ১৯৪৯ সালে নির্মিত শরণার্থী শিবিরটি এখন পূর্ব জেরুজালেম এবং এরিয়া সি-তে পড়ে যা সম্পূর্ণ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :