খানসামায় বেড়েছে ভুট্টা চাষ, স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা

মো. নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর)
| আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১৮ | প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০৭

দিনাজপুরের খানসামায় উপজেলায় গত ৮-১০ বছর ধরে গম, আলু, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ চাষ করতে দেখা যেত। কিন্তু সম্প্রতি ২-৩ বছর ধরে এসব আবাদে লোকসান হওয়ায় কৃষকরা লাভের আশায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন। কম খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শুধু ভুট্টার আবাদেই প্রাধান্য পেয়েছে। তবে এবার অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে বেশি ফলনের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভুট্টা চাষে দরিদ্র কৃষকেরা আর্থিকভাবে সফল হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভুট্টার চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার ভাল ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত আট হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৮৭৬ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এলাকায় মাঠের পর মাঠ ভুট্টাক্ষেত। সবুজ রঙের গাছগুলো দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ক্ষেতগুলোতে পানি ও কীটনাশক দেওয়া এবং পরিচর্যায় কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্ষেতগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছেন।

উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক মনছুর আলী বলেন, আমি দুই একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতি একরে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতি একরে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি হবে। এতে একর প্রতি ৩৫ হাজার টাকার মতো লাভ হবে।

তিনি বলেন, দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় দিন দিন ভুট্টার চাষ বাড়ছে।

একই এলাকার সবুজ ইসলাম বলেন, ‘গত ৯ থেকে ১০ বছর আগে আমাদের এলাকায় চারদিকে শুধুই আলু, গম, রসুন, পেঁয়াজ আবাদ হতো। এখন আমাদের এলাকার যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই শুধু ভুট্টা আর ভুট্টাক্ষেত দেখতে পাবেন। আর এর মাধ্যমে মানুষের ভাগ্যও বদলে গেছে। আমি নিজেও এ বছর ৬ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছি।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ. ম. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আশা করছি এবছরও ভুট্টার ভালো ফলন হবে। এলাকার কৃষকেরা যাতে ভুট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারেন এবং স্বল্প খরচে উচ্চফলনশীল ভুট্টা উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, ভূট্টা একটি লাভজনক ফসল। তাছাড়া কম সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে ভুট্টার ক্ষতিকর বালাই ফল আর্মি ওয়ার্ম সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন থাকতে হবে এবং ভুট্টার পোল্ট্রি ফিড ব্যতীত এর বহুমুখী ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে, তাহলেই এই ফসলটির স্থায়িত্ব এবং চাষাবাদ অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :