চুরির শাস্তি, প্রকাশ্যে চারজনের হাত কাটলো তালেবান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০১| আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:২৭
অ- অ+

চুরি-ডাকাতি এবং সমকামীতার দায়ে দোষি সাব্যস্ত হওয়া নয় আফগানকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করে শাস্তি দিয়েছে তালেবান সরকার। এর মধ্যে চারজনের হাতও কেটে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন আফগান মন্ত্রী। খবর এএনআই-এর।

মঙ্গলবার কান্দাহারের আহমাদ শাহি স্টেডিয়ামে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। মারধরের সময় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং কান্দাহারের বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র হাজি জায়েদ বলেছেন, দোষীদের ৩৫-৩৯ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে।

এদিকে, আফগান পুনর্বাসন এবং যুক্তরাজ্যের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রীর প্রাক্তন নীতি উপদেষ্টা শবনম নাসিমি বলেছেন, কান্দাহারের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে তালেবানরা চারজনের হাত কেটে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

টুইটারে তিনি বলেন, ‘তালেবানরা আজ কান্দাহারের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে দর্শকদের সামনে চুরির অভিযোগে ৪ জনের হাত কেটে দিয়েছে বলে জানা গেছে। আফগানিস্তানে ন্যায্য বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই মানুষকে বেত্রাঘাত, অঙ্গবিচ্ছেদ ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে যা মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও, তালেবান কট্টরপন্থীদের সর্বোচ্চ নেতার একটি ডিক্রি অনুসরণ করে অপরাধীদের বেত্রাঘাত এবং প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড আবার শুরু করেছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং আফগানিস্তানে চাবুক মারা আবার শুরু হয়েছে। পাশাপাশি তারা ডি ফ্যাক্টো কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সব ধরনের কঠোর, নিষ্ঠুর এবং অবমাননাকর শাস্তি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তারা একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘১৮ নভেম্বর, ২০২২ সাল থেকে, ডি ফ্যাক্টো কর্তৃপক্ষ তাখার, লোগার, লাঘমান, পারওয়ান এবং কাবুলসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ১০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে বেত্রাঘাত করেছে বলে জানা গেছে। প্রত্যেককে চুরি, অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক বা সামাজিক আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ কথিত অপরাধের জন্য ২০ থেকে ১০০টি বেত্রাঘাত করা হয়েছিল।

যদিও বিবাহের বাইরে সম্পর্কের অপরাধীকরণ লিঙ্গ-নিরপেক্ষ বলে মনে হয়, বাস্তবে, শাস্তি নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অত্যধিক কঠোর। স্টেডিয়ামের বাইরে কর্মকর্তা ও জনসাধারণের উপস্থিতিতে বেত্রাঘাত করা হয়েছে।

৭ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে তালেবানরা ফারাহ প্রদেশের ফারাহ শহরে একজন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়, যা ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর প্রথম প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড বলে মনে করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/এসএটি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইবাদত বন্দেগীতে সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত
রূপগঞ্জে গ্যাস নেওয়ার সময় প্রাইভেটকারে আগুন, শিশুর মৃত্যু
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শনিবার
ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়তে রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি: ফয়জুল করীম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা