বাতিল নিবন্ধন নিয়ে আপিলের প্রস্তুতির জন্য জামায়াতকে দুমাস সময়

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিতে দুই মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
আদেশের পর তানিয়া আমীর বলেন, ‘মামলাটি শুনানি করার জন্য আমরা অনেকবার উদ্যোগ নিয়েছি। আদালত তাদের অনেকবার সময় দিয়েছেন।
তারা গড়িমসি করে রেডি করছেন না। আজকে ফাইনাল আদেশ দিল। যদি আট সপ্তাহের মধ্যে ফাইল (আপিলের সার সংক্ষেপ) শুনানির জন্য রেডি না করে তাহলে খারিজ হয়ে যাবে।’
একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ। রায়ে আদালত বলেন, ‘এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একই সঙ্গে জামায়াতকে আপিল করারও অনুমোদন দেন আদালত।তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।
পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।
২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জারি করা হাইকোর্টের রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়েছেন। ২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন আবেদনকারী হয়ে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদনটি করেন। জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে রিটে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আরজি জানান। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনকারীরা বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মার্চ আবেদনটি একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন ডিভিশন বেঞ্চ। পরে প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দু’বার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এ সব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এফএ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
আদালত এর সর্বশেষ

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন প্রার্থনা, আটকে রাখার আবেদন পুলিশের

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীরকে বরখাস্তের বিষয়ে রুলের রায় মঙ্গলবার

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে আদালতে নেয়া হয়েছে

হাইকোর্টের বাতিল করা উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারায় ইউএনওর ক্ষমতা নিয়ে যা আছে

উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের একচ্ছত্র ক্ষমতা থাকছে না, হাইকোর্টের রায়

‘শিশুবক্তা’ মাদানির মুক্তিতে বাধা নেই

কান-মুখ খোলা রাখতে শিক্ষার্থীকে বাধ্য করা যাবে না: হাইকোর্ট
