সহসাই ইইউর সদস্য হতে পারছে না ইউক্রেন
ইউক্রেনের ভাবনা অনুযায়ী অত দ্রুত দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার কিয়েভে অনুষ্ঠীত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলন শেষে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন্ডার লিয়েন এই ঘোষণা দেন।
সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল উপস্থিত ছিলেন। ভন্ডার লিয়েন ইউক্রেনকে দীর্ঘ তালিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন যা দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার আগে পূরণ করতে হবে।
কিয়েভ যদি ইইউতে যোগ দিতে চায় তবে এখনও অনেক কিছু করার আছে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি বিস্তৃত ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদন নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬৭-পৃষ্ঠার নথিতে বলা হয়েছে, আর্থিক নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রমিকদের অবাধ চলাচল এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আইনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ইউক্রেন ইইউ মান ও নীতি অনুসরণ করার প্রস্তুতির ‘প্রাথমিক পর্যায়ে’ রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইউক্রেনে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার মান ‘এখনও ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি’ এবং এটি ‘পাবলিক ফান্ড ব্যবহারের জবাবদিহিতাকে দুর্বল করে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে হলে ইউক্রেনকে প্রধান যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে তার মধ্যে রয়েছে- ব্যাপকভিত্তিক দুর্নীতি বন্ধ করা, বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার আনা যাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত থাকে এবং নিজস্ব অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইইউর সদস্য হওয়ার জন্য জোরালো চাপ সৃষ্টি করেছে ইউক্রেন।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ধারণা, তার দেশ যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে পারে তবে রাশিয়ার অভিযান মোকাবেলায় আরো বেশি সামরিক সাহায্য পাবে তার সরকার। কিন্তু এ পর্যন্ত ইউক্রেনের সেই প্রত্যাশা পূরণের ধারে কাছেও যায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
শুক্রবার সম্মেলনের ঠিক আগে ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বেজেছিল। বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভিযানের বর্ষপূর্তী হবে। আর সেটাকে সামনে রেখে সর্বাত্মক হামলার জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।
(ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/এসএটি)