প্রি-পেইড মিটারে টাকা রিচার্জ গ্রাহকের গলার কাটা!

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৩৫
অ- অ+

তৌফিকুর রহমান পেশায় একজন ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নিজ গ্রামের বাড়ি ও তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করছেন। এ ছাড়াও ব্যবসায়ী হিসেবে তার কাছে প্রি-পেইডের অসংখ্য গ্রাহক তার থেকে সেবা নেন। কয়েকদিন আগে প্রি-পেইড মিটারের টাকা শেষ হয় তার। পরে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ থেকে প্রি-পেইড মিটারের জন্য ৫০০ টাকা রিচার্জ করেন। তখন দেখতে পান নতুন করে ১৮০ ডিজিট সংখ্যার লম্বা এক টোকেন সিরিয়াল নাম্বার।

এরপর বাড়ি ফিরে প্রি-পেইড মিটারে ওই ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার উঠাতে মিটারের বাটন চাপতে থাকেন। হঠাৎ করে একটি সংখ্যা ভুল হয়। তখনই ঘটে ভোগান্তির খেলা। পর পর ২-৩ বার চেষ্টা করার পর সঠিক ডিজিট তুলে মিটারে টাকা রিচার্জে সক্ষম হন। এতে তার কমপক্ষে ১০-১২ মিনিট সময় লেগেছে। এর আগে মাত্র ২০ ডিজিটের সংখ্যা ওঠাতে সময় লাগত ১ মিনিট। ১০ গুণ ভোগান্তি শিকার হতে হয়েছে তাকে।

বলছিলাম টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক ওই ভোগান্তির শিকার তৌফিকুর রহমানের কথা। তিনি জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করে আসছি। আগে কখনো এমন ভোগান্তির শিকারে পড়েনি। ২০ ডিজিটের পরিবর্তে ১৮০ ডিজিটের সংখ্যা ওঠানো অনেক ঝামেলা। একটি সংখ্যা ভুল হলেই পুনরায় উঠাতে হয়।

তৌফিকুর আরও জানান, শুনেছি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রি-পেইড মিটার আপডেট করা হয়েছে। যার ফলে অতিরিক্ত ১৮০ ডিজিট। এখন কথা হলো, অনেকেই ১৮০ ডিজিট কিভাবে মিটারে উঠাবে সেই নিয়মই জানেন না। আবার জানলেও ভুল করে বসেন টোকেন নাম্বার উঠাতে। তাছাড়া বিদ্যুত অফিস থেকে যে টোকেন দেওয়া হয় সেগুলোর লেখাও খুব ক্ষুদ্র ও হ-য-ব-র-ল অবস্থা। মনে হচ্ছে, এটা ডিজিটাল এক ভোগান্তি ও গলার কাটা।

একই গ্রামের প্রি-পেইড গ্রাহক মিনা বেগম জানান, প্রি-পেইড মিটার লাগানোর শুরু থেকেই ঝামেলা ও বিরক্তিকর। ২০ ডিজিটের পরিবর্তে নতুন করে ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার উঠাতে গিয়ে কয়েকবার ভোগান্তিতে পড়েছি। টোকেন নাম্বার উঠানো শেষে মিটারে টাকা দেখালেও ঘরে বিদ্যুৎ যায়নি। পরে কয়েকজনের কাছে বিষয়টি বললে তারা জানায় মিটারে লক পড়েছে। এ নিয়ে লক ছাড়াতে গেলেও অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় ।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমাদের প্রায় ৪৭ হাজার বিদ্যুৎ মিটার রয়েছে। তার মধ্যে প্রি-পেইড মিটার ২৫ হাজার। যখন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হয় তখন অটোমেটিকভাবে এই প্রি-পেইড মিটারে অতিরিক্ত ডিজিট যোগ হয়। এটি একবারই হবে। পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত আগের ২০ ডিজিটি থাকবে। ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার উঠাতে যাতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয় সে লক্ষ্যে গ্রাহকদের বাসায় গিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যশোরে বাজার দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত  
Celebrating Mother’s Day: A Tribute to the Strength and Love of Working Mothers
বিদেশি বিশেষজ্ঞ এনে সংস্কারসহ পুঁজিবাজার উন্নয়নে পাঁচ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
‘সীমান্তে পুশইন নিয়ে সরকার নীরব, কোথায় পাওয়ারফুল খোদা বখস: রিজভী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা