বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে ডাকাতি, গুলি-ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ৮ জেলে

বরগুনা ও পটুয়াখালী থেকে গভীর বঙ্গোপসাগরে এফবি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ট্রলারের মাঝিসহ আট জেলেকে কুপিয়ে আহত ও নয় জেলেকে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে পায়রা বন্দর এলাকা থেকে গভীর বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রলারের সহকারী মাঝি নুর মোহাম্মদ জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মহিপুর থেকে বাজার সদাই নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের জন্য এফবি ভাই ভাই ট্রলারটি রওনা দেয়। পরে রাত ২টার দিকে পায়রা বন্দর এলাকা থেকে গভীরে গেলে পেছন দিক থেকে একটি ট্রলার জোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় এফবি ভাই ভাই ট্রলারে ডাকাতের আট থেকে দশ জনের একটি দল উঠে গুলি ও এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে। এতে খোকন নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যান। এ ছাড়া ট্রলারের মাঝি শফিক, কাইয়ুম জোয়াদ্দার, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, আবুল কালাম, খায়রুল, আব্দুল হাই, আব্দুল আলীম ও ফরিদ মিয়াকে কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয় ডাকাতদল। এরপর বাকি নয় জেলেকে জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। জিম্মি করা জেলেদের মধ্যে মধু ও আব্দুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ডাকাতি করে যাওয়ার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে রেখে যায়। এরপর ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে নেটওয়ার্কের মধ্যে এসে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মালিক সমিতিকে অবহিত করে। বিকল ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে একটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে।
ট্রলার মালিকসহ সব জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার নলী গ্রামে।
ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/ইএস

মন্তব্য করুন