কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মুশকিল আসান করে যেসব মশলা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০২৩, ১০:০৫
অ- অ+

রক্তে কোলেস্টেরল একটি ক্রনিক অসুখ। এই রোগে রক্তনালীতে জমতে থাকে প্লাক। সহজে বললে ময়লা বলা যায়। কোলেস্টেরলের তেমন একটা লক্ষণ থাকে না। তাই নিয়মিত টেস্ট করা দরকার। বাইরের তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে।

কোলেস্টেরলের রং হয় হালকা হলুদ। হাই কোলেস্টেরল এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি যা রক্তে উপস্থিত থাকে। কোলেস্টেরল দেহের অভ্যন্তরে অনেকগুলো কার্যক্রমে যেমন কোষকে নমনীয় রাখার জন্য এবং ভিটামিন ডি পরিবর্তনের জন্যও দায়ী। সচেতন থাকুন যে দুটি ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে, একটি হল এলডিএল এবং অন্যটি এইচডিএল।

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে অনেক সময়ে কমলা চাকা চাকা দেখা দেয় ত্বকে। সাধারণ র‌্যাশের মতো নয়। কিছুটা হলদেটে ভাব থাকে। বিশেষ করে চোখের উপরে দেখা যায় এই ধরনের ফোলা ভাব। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মোমের মতো ফোলা ভাব দেখা দেয়। একটানা বেশিদিন এরকম থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

উচ্চ কোলেস্টেরল শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। উচ্চ কোলেস্টেরল বন্ধ করে দিতে পারে আপনার হার্টের রক্তনালি। রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এতে বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।

দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর নিয়ম মেনে চলা জরুরি। অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে বলেন চিকিৎসকেরাই। কিন্তু জানেন কি, রান্নাঘরের মশলা দিয়েই এই রোগকে কাবু করা যায়?

আদা

আমিষ হোক বা নিরামিষ, সব রান্নাতেই আদা দেওয়ার চল রয়েছে। আদায় থাকা ‘জিনজেরল্‌স’ এবং ‘শোগাওল্‌স’ নামক দু'টি যৌগ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে ধমনীতে মেদ জমতে পারে না সহজে।

হলুদ

হলুদে রয়েছে 'কারকিউমিন'। হালের গবেষণা বলছে, কারকিউমিন নামক এই যৌগটিই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ‘ভাল’ কোলেস্টেরল অর্থাৎ ‘এইচডিএল’-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

দারচিনি

দারচিনিতে থাকে ‘সিনাম্যালডিহাইড’ নামক একটি যৌগ, যা রক্তের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা এই শর্করার প্রভাব পড়ে ট্রাইগ্লিসারাইড-এর উপর। যার ফলে বাড়তে পারে হৃদ‌্‌রোগের ঝুঁকিও।

ধনে

দেহে এলডিএল নামক একধরনের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে, যা দেহের শিরা-উপশিরার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচলে সমস্যা বাড়ায়। এর কারণে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ধনে এই ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। এইচডিএলর মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে এই ধনে।

মেথি

ফোড়ন হিসেবে অনেকেই রান্নায় মেথি ব্যবহার করে থাকেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, মেথিতে থাকা ‘স্যাপোনিন্‌স’ নামক যৌগটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

গোলমরিচ

এই মশলায় রয়েছে ‘প্যাপরিন’ নামক একটি যৌগ। যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গোলমরিচের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর যৌগ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

(ঢাকাটাইমস/১২ মার্চ/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কাশেমের কফিন কাঁধে ছাত্র-জনতার মিছিল, আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি
প্রশাসনের রদবদলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইলে জনগণ মেনে নেবে না: আমিনুল 
অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন মাক্স পড়ে শুয়েছিলেন রোগী, অতঃপর গন্তব্য ডিবি অফিস!
জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি গুমের শিকার মানুষদের মুক্তি: উপদেষ্টা মাহফুজ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা