ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবদরদী: আরিফুর রহমান দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক ও শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ মার্চ ২০২৩, ১৮:০৫

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই মানবদরদী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক ‘ঢাকা টাইমস’ ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।

জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে স্বাধীনতার মহান এ স্থপতিকে স্মরণ করে দোলন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর ভেতরে শিশুকাল থেকেই মানুষের জন্য দরদ ছিল, মানবিকতা ছিল। তিনি শিশুদের ভালবাসতেন।’

শুক্রবার শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী’ এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা টাইমস সম্পাদক এসব কথা বলেন।

শৈশব-কৈশোরেই বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত মানবদরদী ছিলেন। ওই অল্প বয়সেই তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকতেন। অভাবী মানুষকে সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।

এসব উদাহরণ টেনে দোলন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানবিক হয়ে গড়ে উঠেছিলেন। তিনি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিজের বই দিয়ে দিতেন, নিজের গায়ের কাপড় দিয়ে দিতেন। এমনকি নিজেদের গোলা থেকে ধান দিয়ে দিতেন অভাবীদের। তার ভেতরে সেই মানবিকতা ছোটবেলা থেকেই ছিল।’

পিতা মুজিবের এমন মানবিকতা কন্যা শেখ হাসিনাও ধারণ করে দেশমাতৃকার উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন ঢাকা টাইমস সম্পাদক। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশ গঠনে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তা অনুসরণ করে আমাদেরও দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’

সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক নড়িয়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে উদাহরণ তৈরি করেছেন বলে উল্লেখ করেন আরিফুর রহমান দোলন।

বলেন, ‘শহীদুল হক তাঁর বাবা-মায়ের নামে নড়িয়ায় একটি অত্যাধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তিনি শরীয়তপুরবাসীর কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এরইমধ্যে দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।’

‘আমাদের সকলের উচিত নিজ নিজ অঞ্চলের জন্য কাজ করা। আর তা শহীদুল হকের তৈরি করা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখা উচিত, কিভাবে নিজ অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করতে হয়। এছাড়া এত উন্নত আধুনিক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শরীয়তপুরে আছে, তা নিজ চোখে দেখে গেলাম। যা বিরল দৃষ্টান্ত।’

এসময় উপস্থিত সুধীমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দোলন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এই স্বাধীন দেশ দিয়েছেন বলেই আজ আমরা রাষ্ট্রের বড় বড় পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছি। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও একদিন বড় বড় দায়িত্ব পালন করবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করে দেশপ্রেম নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী ভূমিকা রাখবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঢাকা টাইমস সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো একজন দক্ষ ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রী বলেই শহীদুল হকের মতো একজন মেধাবী মানুষ আইজিপি হয়েছিলেন।

‘আর এ কারণেই শরীয়তপুরবাসী এ ধরনের মানসম্মত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেয়েছে। শহীদুল হকের দক্ষতা ও যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠানটি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শহীদুল হক অমর থাকবেন তার এই মহৎ কর্মের মাধ্যমে।’

পরে ঢাকা টাইমস সম্পাদক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদুলপত্নী প্রতিষ্ঠানটির ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য ও পুনাকের সাবেক সভাপতি শামসুন্নাহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফরিদ আল হোসাইন।

অনুষ্ঠানে ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি পড়ার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং দেয়াল পত্রিকা ‘শেখ রাসেল চিত্র বিচিত্রা’ ও ‘শেখ রাসেল সাহিত্য সিন্ধু’ উন্মোচন করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/আরআর/কেএম/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :