মসজিদে এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালানোয় হামলা, আহত ৩, আটক ৫

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১৪ | প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৬

বরিশাল নগরীর ভাটিখানা এলাকার জোড় মসজিদে এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালানোকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এতে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ইউনুস আলীসহ তার অপর দুই ভাই গুরুতর আহত হন।

রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারাবির নামাজ আদায় শেষে এ ঘটনা ঘটলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করে। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেছেন স্বজনরা।

আটককৃতরা হলেন, ওই এলাকার বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ খানের ছেলে সাজোয়ান খান (৩৫), আসাদুজ্জামেনর ছেলে নাইম ইসলাম (২৬), আ. মান্নান খানের ছেলে মহিবুল (২৮), সাজ্জাদ কবিরের ছেলে সাজ্জাদ সাইম নিসান (২৯) ও ইদ্রিস আলী খানের ছেলে মিরাজ খান (৩৪)।

আহতরা হলেন, জোর মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ও ব্যবসায়ী ইউনুস আলী, তার ভাই মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা রশিদ তালুকদার ও বাসেদ তালুকদার।

আহত মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ইউনুস আলী বলেন, রবিবার রাতে জোড় মসজিদে তারাবির নামাজের সময় এসি ও ফ্যান চালানো নিয়ে মুসল্লিদের একটি পক্ষ ‍কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। নামাজ শেষে এ নিয়ে তিনি কথা বলতে গেলে রাজ্জাক খান ও সুলতান খান বিতর্কে জড়ান। এরই ধারাবাহিকতায় মসজিদের ভেতর বসেই তিনিসহ ভাইদের ওপর হামলা চালায় রাজ্জাক খান ও সুলতান খান। এসময় মুসল্লিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও পরবর্তীতে তারা মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় রাজ্জাক খানের ছেলে বাবু ও সুলতান খানের ছেলে সাজওয়ান খানসহ ১০-১৫ জন মিলে তাদের ওপর পুনরায় হামলা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং হামলাকারী বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।

মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা রশিদ তালুকদার বলেন, ঘটনার সূত্রপাত আসরের নামাজের সময় কালাম নামে এক ব্যক্তির উচ্ছৃঙ্খল আচরণ থেকে। সে এসি চলাকালে ফ্যান ছাড়া নিয়ে আসরের নামাজের সময় চিল্লাচিল্লি করে, তখন বিষয়টি থামিয়ে দেয় মসজিদ কমিটির লোকজন। এরপর মাগরিবের নামাজে কোনো সমস্যা না হলেও তারাবির নামাজে পুনরায় এসি চলাকালে ফ্যান চালু ও বন্ধ করা নিয়ে সুলতান খান ও তার স্বজনরা কমিটির লোকজনের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা তিন ভাই মারধরের শিকার হয়েছি।

এদিকে আহত ইউনুস আলীর ছেলে ইশতিয়াক দাবি করেছেন, তার বাবাকে মারধরের মধ্যেই কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আর তার চাচাতো ভাই সজিব তালুকদার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তারা আইনের আশ্রয় নেবেন। এভাবে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার বাবা বাসেদ তালুকদারসহ চাচাদের মারধর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বহিঃপ্রকাশ।

আর এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আহত রশিদ তালুকদারের ছেলে বশির আহমেদসহ স্বজনরা।

এদিকে এ ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানা পু‌লি‌শের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :