পুরুষদের ক্যান্সারের যে চার লক্ষণ অগ্রাহ্য করা একেবারেই অনুচিত

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০৩ মে ২০২৩, ১৩:১০

ক্যান্সারকে বলা হয় মরণব্যাধি। এ রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে ফারাক জানা থাকা জরুরি। বেশিরভাগ সময়ই পুরুষদের ক্যান্সার হলে তা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে না। কারণ, ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে ছোটখাটো কোনো সমস্যার লক্ষণ ভেবে অগ্রাহ্য বা এড়িয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়েই যদি ক্যান্সারের লক্ষণগুলো শনাক্ত করা যায়, তবে ক্যান্সার পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব হতে পারে- এমনটাই বলে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। চলুন তবে জেনে নেই এমন চারটি লক্ষণ সম্পর্কে, যেগুলো পুরুষদের একেবারেই অগ্রাহ্য করা উচিত নয়।

প্রস্রাবে পরিবর্তন

প্রস্রাবের প্রবাহে যে পরিবর্তনগুলো হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। যেমন- প্রস্রাবের প্রবাহ শুরু করতে সমস্যা। প্রস্রাবের প্রবাহ বন্ধ করতে সমস্যা। স্বাভাবিকের চেয়ে দুর্বল প্রস্রাবের স্রোত, বেগ ছাড়াই প্রস্রাব ঝরা এবং দিনে কতবার প্রস্রাব হচ্ছে সেই হারে পরিবর্তন হওয়া।

মুখের পরিবর্তন

মুখের ভেতরে সাদা দাগ। মুখে ও গলায় অনবরত ব্যথা। খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া, নিচের চোয়াল নাড়াতে সমস্যা। অজানা কারণে দাঁত নড়বড়ে হয়ে যাওয়া বা উঠে আসা। মুখ ফুলে যাওয়া, ঠোঁটে অসাড়তা বা অতিসংবেদনশীলতা। গালের ভেতরে বা জিহ্বায় ক্ষত ও ঘাঁ অথবা জিহ্বা থেকে রক্ত পড়া। অনবরত কফ-কাশি বা স্বরভঙ্গ এবং কফের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া।

পাকস্থলি সংশ্লিষ্ট লক্ষণগুলো

পাকস্থলিতে এবং পেটে ব্যথা হতে পারে নানা কারণে। তবে ব্যথা কমানোর ব্যবস্থা নেয়ার পরও যদি তা না কমে তাহলে তা ক্যান্সারের লক্ষণ হতেও পারে। পাকস্থলি সংশ্লিষ্ট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো হলো-

ক্ষুধামান্দ্য, দীর্ঘমেয়াদী এসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাকস্থলি বা গলার ক্যান্সারের লক্ষণ। বমি রক্তসহ বা ছাড়া, পেট ফোলা, বা পেটে তরল জমা হওয়া, পাকস্থলিতে ব্যথা, যা হতে পারে ভেতরের দিকে চাপ প্রয়োগ করার অনুভূতিযুক্ত, এগুলো অগ্নাশয় ক্যান্সারে লক্ষণ।

পাকস্থলিতে খিচুনি বা অস্বস্তি হতে পারে লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ। অল্প খাবারেই পেট ভরে যাওয়া, প্রস্রাব বা পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া হতে পারে কিডনি বা মূত্রাশয় বা কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ।

কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া

যারা সুস্বাস্থ্যের জন্য ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাদের হুট করে ওজন কমে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই যদি ওজন কমে যায়, সেটা বিপদের লক্ষণ। অগ্নাশয়, পাকস্থলি বা ফুসফুসের ক্যান্সার হলে হঠাৎ করেই ওজন কমে যেতে পারে।

এছাড়া থাইরয়েড গ্রন্থির অতিসক্রিয়তা, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, বা যক্ষ্মা হলে হঠাৎ করেই ওজন কমে যেতে পারে। তাই উপরের লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অবহেলা করলে হতে পারে প্রাণের সংশয়।

(ঢাকাটাইমস/৩মে/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :