জুয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হত্যা, সব আসামি খালাস পাওয়ায় বাদীপক্ষের ক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ মে ২০২৩, ১৪:১৬ | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৩, ১৪:১৩

মাদারীপুরে দীর্ঘ ১৯ বছর আগে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন। সেই হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত সব আসামিকেই খালাস দিয়েছেন আদালত।

এতে আসামিপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদীপক্ষ।

খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের প্রয়াত রশিদ মোড়লের ছেলে গোলাম মাওলা (৪২), চরকাচিকাটা গ্রামের আদেল উদ্দিন শেখের ছেলে রব শেখ (৪৫), একই গ্রামের সেকান ফকিরের ছেলে লিটন ফকির (৬২), মাদবরকান্দি গ্রামের আব্দুল হামেদ দড়ির ছেলে দলিল উদ্দিন দড়ি (৭০) ও একই গ্রামের প্রয়াত আব্দুল হাকিম দড়ির ছেলে মো. বাদশা দড়ি (৬৫)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ মে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের এসকেনদার আলীর ছেলে জাকির হোসেন বাড়ি থেকে শিবচর বাজার এলাকায় শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এরপর দুইদিন পর ২৩ মে শিবচর উপজেলার বিলপদ্মা নদীর কেরানিবাট এলাকায় বস্তাবন্দি মস্তকবিহীন এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন জাকিরের লাশ শনাক্ত করলে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। ওইদিনই অজ্ঞাতদের আসামি করে জাকিরের বাবা এসকেনদার আলী বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তৎকালীন শিবচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী তদন্ত শেষে গোলাম মাওলা, রব শেখ, লিটন ফকির, দলিল উদ্দিন দড়ি ও মো. বাদশা দড়িকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

অভিযুক্তপত্রে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত আসামিরা জুয়া খেলার ৮০ হাজার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে জাকিরকে কুপিয়ে হত্যা করেন। লাশ যেন শনাক্ত করতে না পারে এজন্য আসামিরা জাকিরকে মস্তকবিহীন করে বস্তায় ইটবোঝাই করে লাশটি বিলপদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। বিভিন্ন সময় আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। যুক্তিতর্ক ও দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত ৫ জনকেই খালাস দেন। মামলা চলাকালীন সময় আসামি দলিলউদ্দিন দড়ি মারা গেলেও রায় ঘোষণার সময় বাকি ৪ আসামি উপস্থিত ছিলেন।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ‘মামলায় সব আসামিদের খালাস দিয়েছে আদালত। এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সংক্ষুদ্ধ। আগামীতে রায়ের কপি পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। সেখানে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পাবে বলে আমরা বিশ্বাস রাখি।’

আরও পড়ুন: শ্রীপুরে নবজাতককে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামীপক্ষের আইনজীবী জাফর আলী মিয়া বলেন, ‘মামলাটি ক্লুলেস হওয়ায় আদালতকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, আসামিরা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। ফলে তাদের খালাস দেওয়া হয়। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।’

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :