স্বর্ণ আনার শুল্ক দ্বিগুণ, কমানো হয়েছে পরিমাণ

বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার আনলে আগের চেয়ে দ্বিগুণ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২৪ বাজেটে। স্বর্ণের অবৈধ প্রবেশ রোধ ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যাগেজ রুলে এ সংশোধন আনা হয়েছে। পাশাপাশি পরিমাণও কমানো হয়েছে। আগে একজন যাত্রী ২৩৪ গ্রাম স্বর্ণের বার বা স্বর্ণ পিন্ড আনতে পারলেও বর্তমানে তা কমিয়ে ১১৭ গ্রামে নামানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বক্তব্যে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাগেজ রুল সংশোধন করে স্বর্ণবার আনার ক্ষেত্রে ভরিপ্রতি (প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রামে) শুল্ক ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। কেউ যদি অতিরিক্ত সোনা আনেন সেক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান নেই, তাই সোনা বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাব করছি।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর বাজেট প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’
এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
প্রস্তাবিত বাজেট আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক ২ শতংশ। বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেটে ঘাটতির পরিমান ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি এবং অন্যান্য উৎস হতে ৭০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশ ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।
আগামী বাজেটে ব্যয়ের বিপরীতে সরকার মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা প্রাক্কলিত জিডিপির ১০ শতাংশ। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আসবে।
(ঢাকাটাইমস/০১জুন/এমএইচ/কেএম)

মন্তব্য করুন