টাকা ছাড়া সেবা মেলে না রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩, ১১:৫৯ | প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৩, ১০:১০

বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ, এখানে টাকা ছাড়া কোনো ধরনের নাগরিক সুবিধা পান না ইউনিয়নবাসী। ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ এমনকি মৃত্যু সনদেও গুনতে হয় চেয়ারম্যান ও সচিব নির্ধারিত অর্থ।

আর কেউ টাকা না দিতে চাইলে তার সেবাও মেলে না। আর এই অর্থ বাণিজ্যের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন সচিব আতিকুর রহমান।

ইউনিয়নবাসী সূত্রে জানা যায়, রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নে ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের জন্য পাঁচশো টাকা নির্ধারিত। এছাড়া চা খেতে সচিব আতিকুর রহমান ও চেয়ারম্যানের স্বজন মনুকেও দিতে হয় তিন থেকে পাঁচশো টাকা। না হলে মেলে না ওয়ারিশ সার্টিফিকেট।

একই ঘটনা জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রেও, সরকার নির্ধারিত পঞ্চাশ টাকা ফি হলেও এক্ষেত্রে বাড়তি গুনতে হয় চার থেকে পাঁচশ টাকা। এমনকি নাগরিক সনদ ও মৃত্যু সনদেও টাকা দিতে হয় ইউনিয়নবাসীর।

সোলনা গ্রামের মাহাবুব হাওলাদার, ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। গত মাসে তার একটি নাগরিক সনদ দরকার হওয়ায় রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে যান সেটি আনতে। একটি নাগরিক সনদের জন্য সচিব আতিকুর রহমান ও চেয়ারম্যানের স্বজন মনু দুজনকে খুশি করা বাবদ গুনতে হয় তিনশো টাকা।

এ বিষয় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আতিকুর রহমান বলেন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের জন্য চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ বাবু পাঁচশ টাকা নির্ধারিত করে দিয়েছেন। এছাড়া টুকটাক খরচ বাবদ কিছু টাকা নেওয়া হয়।

চেয়ারম্যানের স্বজন মনু পরিষদের কোনো স্টাফ না হয়েও কেন টাকা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনুকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত হিসেবে রাখা হয়েছে। তাই তার একটা খরচ বাবদ কিছু টাকা রাখা হয়।

ইউনিয়নবাসী বিনা টাকায় সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও কেন বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে সচিব আতিকুর রহমান বলেন, দেশের সবকিছুর দাম বাড়তি সেগুলো দেখেন না?

ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের এক আওয়ামী লীগ নেতা আক্ষেপ করে বলেন, নির্বাচনের আগে চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ বাবু অঙ্গীকার করেছিলেন, নির্বাচিত হলে ইউনিয়নবাসী সকল সুযোগ-সুবিধা বিনা পয়সায় পাবেন। অথচ তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর সেই কথা রাখেননি।

এদিকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ বাবু বলেন, আমার জানামতে কেউ কোনো টাকা নেয় না। যদি সচিব বলে থাকেন তিনি টাকা নেন, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।

বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুধুমাত্র জন্মনিবন্ধন বাবদ সরকার নির্ধারিত পঞ্চাশ টাকা চার্জ। এছাড়া কোনো কিছুতেই কোনো টাকা পয়সা লাগে না। কেউ যদি এরকম কাজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটা বেআইনিভাবে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় বোনও পুকুরে তলিয়ে গেল

তিনি বলেন, আমি খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :