কারাগারে বই পড়েন মিজান, পার্থ গোপাল করেন মালির কাজ, বজলুর রশীদ ‘ঘোরাফেরা’ করেন

আশিক আহমেদ, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩, ১২:২৯ | প্রকাশিত : ০৪ জুন ২০২৩, ১১:৩৪

সাজাপ্রাপ্ত পুলিশের আলোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমান আর ডিআইজি প্রিজন্স মো. বজলুর রশীদ এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ রয়েছেন আরেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক। এরা তিনজনই দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।

কারাগারে এই তিন আসামি কী কাজ করেন তা জানতে চাইলে একটি সূত্র বলেছে, সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক কারাগারে মালির কাজ করছেন। বই পড়ে ও ধর্ম-কর্ম করে সময় কাটাচ্ছেন ডিআইজি মিজান।

অপরদিকে এখন পর্যন্ত কোনো কাজ দেওয়া হয়নি দুর্নীতির মামলায় সাজা পাওয়া ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে।

কারাগারে বই পড়েন ডিআইজি মিজান

প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদায় কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমান। অবৈধ সম্পদের মামলায় সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই কারাগারে আছেন।

কারাসূত্র জানায়, নানা অনৈতিক আর অবৈধ কাজের দায়ে দণ্ডিত ডিআইজি মিজানের কারাগারে দিন শুরু হয় ফজরের নামাজ পড়ে। এছাড়াও তিনি বই পড়েন। নিজের ঘরের সামনে পায়চারী করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুভাষ ঘোষ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কারাগারে মিজানুর রহমানকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনো কাজ করেন না। একটি মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হলেও তিনি ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

আর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাধারণ কয়েদির মতো জীবন কাটাচ্ছেন কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদ।

কারা সূত্রে জানা যায়, খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন ডিআইজি মিজান। ফজরের নামাজ আদায় করে পত্রিকা নিয়ে বসেন। দিনের বেশির ভাগ সময় কারাগারে নিজের কক্ষে সময় কাটান তিনি।

ডিআইজি মিজান কারাগারে বন্দি এবং কারারক্ষিদের সঙ্গে খুব কম কথা বলেন বলে সূত্র জানিয়েছে। আর এ জন্য কারারক্ষিসহ অন্যরাও তার সঙ্গে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতে চান না। নিজের মনে পায়চারী করেন মিজান। সময়ে সময়ে বিভিন্ন বই ও পত্রিকা পড়েন। এ ছাড়া নিয়মিত নামাজ-কালাম পড়েন বরখাস্তকৃত এই পুলিশ কর্মকর্তা।

২০১৯ সালের ১ জুলাই অবৈধ সম্পদের মামলায় ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এরপর থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি পুলিশের এক সময়ের প্রভাবশালী এই কর্মকর্তা।

ঘুষ লেনদেনের মামলায় জামিন পেলেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বন্দি রয়েছেন ডিআইজি মিজান।

আরও পড়ুন>>ডিআইজি মোল্যা নজরুল পরিবর্তনের কারিগর, যে কারণে অনুসরণীয়

গত বছরের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক বেঞ্চ ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুই মাসের জন্য ডিআইজি মিজানের জামিন মঞ্জুর করেন।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানিলন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। এছাড়াও দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ডিআইজি মিজানকে।

২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন।

এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অপরদিকে মানিলন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।

২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।

ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্য চলছে

পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ওয়ান ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএভিপি) গোলাম রসুল ভূঁইয়া। তিনি সাক্ষ্য দেওয়া শেষ করেছেন। বর্তমানে মামলাটিতে ঢাকার বিশেষ জজ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ডিআইজি মিজান ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগিনা মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট তিনি এসআই হিসেবে যোগ দেন। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কয়েদির পোশাকে ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদ

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাধারণ কয়েদির মতো জীবন কাটাচ্ছেন কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদ। ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের অনুকূলে বজলুর রশীদের তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। রায় ঘোষণার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় বজলুর রশীদকে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একটি সূত্র জানায়, কারাগারে আসার পর বজলুর রশীদকে কয়েদির পোশাক পরানো হয়েছে। এখানে তিনি একজন সাধারণ বন্দির মতোই জীবনযাপন করছেন। তাকে কোনো ডিভিশন দেওয়া হয়নি। কারাগারের দেওয়া খাবার খান বজলুর রশীদ।

জানা গেছে, বজলুর রশীদ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়েন। এছাড়া বই, পত্রিকা পড়ে সময় কাটান তিনি। এছাড়াও কারাগারের মধ্যে তিনি টেলিভিশন দেখে সময় পার করেন।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

২০২০ সালের ২২ অক্টোবর বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এই অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।

মালির কাজ করেন পার্থ গোপাল বণিক

২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সিলেটের সাবেক কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিককে পৃথক দুটি অভিযোগে আট বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড দেন। তবে দুটি দণ্ড এক শুরু হওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এই মামলায় তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। বর্তমানে তার মামলাটি হাইকোর্টে আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

এছাড়া ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায় আরও তিন মাস কারাদণ্ড দেয়া হয় তাকে। রায়ের পর থেকে কাশিমপুর পার্ট-১ এর কারাগারে আছেন পার্থ গোপাল বণিক।

কারাগারের একটি সূত্র জানায়, কারাগারে সাধারণ বন্দির মতোই থাকেন পার্থ গোপাল। তিনি কারাগারের একটি বাগানের মালির কাজ করেন। এছাড়াও কারাবিধি অনুযায়ী তিনি সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।

এ ব্যাপারে কাশিমপুর পার্ট-১ এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘তিনি আমাদের কারাগারে আছেন। তাকে একটি বাগানে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

জেল সুপার জানান, পার্থ গোপাল নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মোবাইলে। এছাড়া তার পরিবারও নিয়মিত তার খোঁজখবর নেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দিন বিকালে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেন। পরে তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের ২৪ আগস্ট একই কর্মকর্তা ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। একই বছরের ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক। ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি প্রিজন্স হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারপরই অভিযানে যায় কমিশন। পরে ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/এএ/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

নাথান বমের স্ত্রী কোথায়

চালের বস্তায় জাত-দাম লিখতে গড়িমসি

গুলিস্তান আন্ডারপাসে অপরিকল্পিত পাতাল মার্কেট অতি অগ্নিঝুঁকিতে 

সিদ্ধেশ্বরীতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু: তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অন্ধকারে পুলিশ

রং মাখানো তুলি কাগজ ছুঁলেই হয়ে উঠছে একেকটা তিমিরবিনাশি গল্প

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :