গাজীপুরে বিউটিশিয়ান রুবিনা হত্যার পেছনে দাম্পত্য কলহ, অভিযুক্ত স্বামী গ্রেপ্তার: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ১৭:২৪ | প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০২৩, ১৭:২১

গাজীপুরে রাজকন্যা বিউটি পার্লারের মালিক রুবিনা আক্তার হত্যার ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। রুবিনার স্বামী গ্রেপ্তার মিঠুন চন্দ্র ঘোষ ওরফে মৃদুল হাসান হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন বলে দাবি র‌্যাবের। বুধবার সকালে র‌্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানির কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে রুবিনা হত্যায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালত থেকে রিমান্ড মঞ্জুর করিয়ে নেয় পুলিশ।

হত্যার শিকার রুবিনা আক্তার গাজীপুরের মহানগরীর আদৈব গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে বাবার জমিতে ‘রাজকন্যা বিউটিপার্লার’ দিয়ে পার্লার ব্যবসা করছিলেন।

র‌্যাব জানায়, গত ৪ জুন রাতে জিএমপি সদর মেট্রো থানাধীন আদাবৈ এলাকার রাজকন্যা বিউটি পার্লারের পেছনের রুমে হাত-পা ও মুখ বাঁধা এবং কাঁথা দিয়ে মুখ পেঁচানো ও মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় রুবিনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে রুবিনার স্বামী পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাবনা সদর থানার মৃত বাবলুর বাসায় অভিযান চালিয়ে মৃদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাবের ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তার মিঠুন চন্দ্র ঘোষ রুবিনা আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং এই চাঞ্চল্যকর হত্যার লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়। মিঠুনের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, প্রায় ১৪ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সূত্র ধরে পরিচয়ের তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের মাঝে সম্পর্ক ভালো থাকলেও পরবর্তীতে দাম্পত্য কলহ এবং একে অন্যকে পরকীয়ার সন্দেহে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পরবর্তীতে আসামি মিঠুন চন্দ্র ঘোষ রুবিনা আক্তারকে দাম্পত্য কলহের জের ধরে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

নির্যাতনের বিষয়ে রুবিনা আক্তার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে রুবিনাকে ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করে মিঠুন। পরে ভরণ-পোষণ এবং দেনমোহরের টাকা দেওয়ার জন্য মিঠুনকে চাপ দিতে থাকেন স্ত্রী রুবিনা। এতে মিঠুনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং রুবিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৪ জুন বিকালে অন্যতম সহযোগী সুমা রানী ঘোষের মাধ্যমে রুবিনার রাজকন্যা বিউটি পার্লারে ঢোকে। পরে আরেক সহযোগী রাকিবকে পার্লারের বাইরে পাহারায় বসিয়ে রাখে মিঠুন। পার্লারে ঢুকে মিঠুন চন্দ্র ঘোষ তার সহযোগী সুমা রানী ঘোষের সহায়তায় আশে পাশে পড়ে থাকা কাপড় দিয়ে রুবিনার হাত-পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা রুবিনার ব্যবহৃত দুইটি স্মার্টফোন, স্বর্ণের দুটি কানের দুল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহত রুবিনার মা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে গাজীপুরের সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

র‌্যাবের ভাষ্য, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মিঠুন চন্দ্র ঘোষকে পাবনার সদর থানার দিলালপুর নারিকেল বাগান এলাকার মৃত বাবলুর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে নিহত রুবিনার ব্যবহৃত দুটি টাচযুক্ত মোবাইল ফোনসহ একটি বাটনযুক্ত মোবাইল ফোন, মিঠুনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও নগদ ৬৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার মিঠুন চন্দ্র ঘোষ ওরফে মৃদুল হাসান গাজীপুর সদর থানার খুঁজে বর্মী গ্রামের নিতাই ঘোষের ছেলে।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/এএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

পল্লবীতে পাভেল হত্যা: নেপথ্যে মাদক ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৮

মাদক-ইয়াবা কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হটলাইন থেকে গ্রাহককে ফোন, অ্যাকাউন্টের টাকা হাওয়া

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৮, মামলা ৬

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার 

এটিএম বুথের প্রহরী হত্যা: টাকা লুটের উদ্দেশ্যে নাকি ব্যক্তিগত কারণ? কী বলছে পুলিশ?

রাজধানীতে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

কেএনএফকে সহযোগিতা, বান্দরবান থেকে একজন গ্রেপ্তার

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার সেই চিকিৎসকের মৃত্যু

রাষ্ট্রপতির আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণা, নিঃস্ব বহু ট্রাভেল ব্যবসায়ী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :