গাজীপুরে বিউটিশিয়ান রুবিনা হত্যায় দুজন গ্রেপ্তার: পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০২৩, ১৬:০৯| আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ১৭:২৭
অ- অ+

গাজীপুরের ‘রাজকন্যা বিউটি পার্লারের’ মালিক রুবিনা আক্তার হত্যার ঘটনায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. রাকিবুল ইসলাম ও সুমা রানী ঘোষ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইলকেল জব্দ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জিএমপির সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ৮টার দিকে জিএমপি সদর থানার আদাবৈ সাইনবোর্ড গ্রামে আছিয়া বেগম তার মেয়ে রুবিনা আক্তারের বিউটি পার্লারের পেছনের রুমে মেয়ের জন্য খাবার দিতে গিয়ে দেখতে পায় যে তার মেয়ের হাত, পা, মুখ বাঁধা, কাঁথা দিয়ে মুখ ডাকা এবং উপুড় অবস্থায় পড়ে আছে। পরে আছিয়া বেগম মেয়েকে উপুড় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত তার মুখ থেকে কাঁথা সরিয়ে মেয়ের মুখ নীলাফোলা ক্ষত জখমপ্রাপ্ত ও মৃত অবস্থায় দেখে।

মেয়ের এমন অবস্থায় আছিয়া বেগমের ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের স্থানীয় লোকজন এসে রুবিনার লাশ দেখে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গত সোমবার (৫ জুন) জিএমপি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সদর থানার মামলা নম্বর-১২। ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

জিএমপির উত্তর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি অপরাধ) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমানের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে সদর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ফাহিম আসজাদ এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম তাদের সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় একটি অভিযান চালায়। অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে লাশ উদ্ধারের ছয় ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস এই হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয় এবং মো. রাকিবুল ইসলাম ও সুমা রানী ঘোষ নামে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই আসামির কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের বরাত দিয়ে জিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত রুবিনা আক্তারের স্বামী মৃদুল বোরখা পরে মোটরসাইকেলে করে গিয়ে পরস্পর যোগসাজসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

নিহত রুবিনা আক্তার ‘রাজকন্যা বিউটি পার্লার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বিউটি পার্লারের পেছনের রুমে বসবাস করতেন। তাদের বিয়ের পর থেকে রুবিনার স্বামী মৃদুল সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করতো আর রুবিনাকে কোনো প্রকার ভরণ-পোষণ দিতো না। এক মাস আগে মৃদুল পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ করে বাসা থেকে অজ্ঞাত জায়গায় চলে যায়।

গ্রেপ্তার দুই আসামিকে হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রাকিবুল ইসলাম ও সুমা রানী ঘোষকে পুলিশ রিমান্ডে থানায় আনা হয়। মঙ্গলবার আসামি সুমা রানী ঘোষ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

গ্রেপ্তার মো. রাকিবুল ইসলাম গাজীপুর জেলার সদর থানার আদাবৈ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। সুমা রানী ঘোষ জয়দেবপুর থানার খুঁজে বর্মী গ্রামের মৃত ফনিন্দ চন্দ্র ঘোষের মেয়ে।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/এএ/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
‘হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই’
আইইউবিএটি’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম. আলিমউল্যা মিয়ানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এনসিসি ব্যাংকের সমঝোতা স্মারক
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা