কোরবানির পশুর বাজারে লাভের স্বপ্ন দেখছেন ফেনীর খামারিরা

এম শরীফ ভূঞা, ফেনী
  প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২৩, ১৫:০২
অ- অ+

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অভ্যন্তরীণভাবে কোরবানির পশুর শতভাগ চাহিদা মেটাতে পারবে বলছেন ফেনীর গো-খামারিরা। ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, জেলার বাইরে থেকে পশু না এলে এবার লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখবেন তারা।

ফেনীতে বড়-ছোট খামারিদের পাশাপাশি বিশেষ করে নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর জেলা থেকে আসা গরুতেই প্রায় বছরই চাহিদা পূরণ হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদে ফেনীতে ৮০ হাজার ৮০০ পশুর চাহিদা আছে। তবে জেলার বিভিন্ন খামারি ও প্রান্তিক পশু পালনকারীদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ১ লাখের বেশি পশুর যোগান আছে। অনেকে নিজেরা লালন-পালন করে কোরবানি করে থাকেন। সে হিসাবে ১ লাখ ২ হাজার পশু কোরবানি হয়ে থাকে।

ফুলগাজী দেশ এগ্রোর পরিচালক চৌধুরী মুকুল জানান, সারাবছরের তুলনায় কোরবানির জন্য বিশেষ কিছু গরু যত্ন করে লালন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে এ খামারের গুরু বেড়ে উঠে। এবছর প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করেন।

হাসিনা এগ্রোর স্বত্বাধিকারী আরাফাত খান বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে নিজ উদ্যোগে শহরের পাঠান বাড়ির পশ্চিম দিকে মোকছেদুর রহমান সড়কে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির পশু পাইকারি ও খুচরা সুলভ মূল্যে বিক্রি চলছে। পশু মোটাতাজাকরণ আসলে পেশা নয় সেবা হিসেবে বেঁচে নিয়েছি।

আমান এগ্রোর পরিচালক রাফি উদ্দিন হামিম বলেন, সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের দমদমা এলাকায় ১০ বছর ধরে কোরবানিকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজা করণ কাজ চলছে। সম্পূর্ণ দেশীয় জাতের পশু এখানে পাওয়া যায়। ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরনের পশু মজুত আছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়ে এ পশু লালন পালন করা হয়ে থাকে।

আমান এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ন্যায্যমূল্যে সুস্থ সবল কোরবানির গরু বিক্রির মাধ্যমে ক্রেতাদের আস্থা অর্জনই আমাদের প্রতিষ্ঠানের একমাত্র লক্ষ্য। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে ৮০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা মূল্যে গরুর ব্যবস্থা রেখেছি। এছাড়া সারাবছর খামারে বিভিন্ন প্রজাতির গরু লালন পালন করি। যেসব ক্রেতারা সময় স্বল্পতার জন্য খামারে যেতে পারবেন না তারা শুক্রবার থেকে শহরের পাঠানবাড়ি রোডের মোমিন জাহান মসজিদের দক্ষিণ পাশে আমাদের ডিসপ্লে সেন্টারে ঘুরে যেতে পারেন।

সোহান এগ্রো ফার্ম পরিচালক হাসান মাহমুদ সবুজ বলেন, আমরা যেন দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি করতে পারি সেই উদ্দেশ্যে এ বছর শুরু করা হয়েছে পশু মোটাতাজাকরণ। মোটাতাজাকরণে যে কর্মচারী রাখা হয়েছে তাদের খরচ বিবেচনা করে পশুর মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

সিটি এগ্রোর পরিচালক আবদুল ওহাব ভূঞা রিয়াদ বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী মনোরম পরিবেশে নিজের জায়গায় পশু মোটাতাজাকরণ ও গাভী পালনের জন্য শেড তৈরি করা হয়েছে। গত বছরও কোরবানির সময় পশুর ভালো চাহিদা ছিল। সেই অনুযায়ী এ বছর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে কোরবানিকে সামনে রেখে বেশি পশু মজুত করা সম্ভব হয়নি। তবে গাভী লালন-পালন পুরো দমে চলছে।

ফেনী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, দেশের অন্য স্থানের মতো ফেনীতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে কোরবানির পশু সরবরাহ করা হবে। আবার ফেনীতে বিভিন্ন খামারেও এখন ভালো জাতের বড় গরু লালন-পালন হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ পশু আছে। তবে ফেনীর মানুষ নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে কোরবানি করতে বেশি পছন্দ করেন। সে হিসেবেও পশুর ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ তরুণ সালমানের পাশে তারেক রহমান 
যশোরে বাজার দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত  
Celebrating Mother’s Day: A Tribute to the Strength and Love of Working Mothers
বিদেশি বিশেষজ্ঞ এনে সংস্কারসহ পুঁজিবাজার উন্নয়নে পাঁচ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা