সরকারের পৌনে ২৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে রেহাই পেলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৯:২১ | প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৯:০১

সরকারি খাত থেকে আত্মসাৎ করা ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা ফেরত দেওয়ায় জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকারকে পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় অব্যাহতির এই নির্দেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৪ মার্চ ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখায় টাকা জমা দেন। এরপর আদালত ৯ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। রবিবার আদালত ভিন্ন ভিন্ন আদেশে ৫ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন জমির উদ্দিন সরকারকে।

ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের আইনজীবী আব্দুল হান্নান জানান, ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা চালান রশিদের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার কারণে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে আর মামলা চলমান থাকলো না। আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন।

ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার স্পিকার থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে হৃদরোগ চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে তিনি চিকিৎসার খরচ বাবদ ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকার বরাদ্দের অনুমতি চেয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না দিয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

পরে স্পিকার নিজ ক্ষমতা বলে বিলটি পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেন। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে জাতীয় সংসদের তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বিল পরিশোধ করেন। এই দুজনে পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে উক্ত টাকার বিল অনুমোদন ও উত্তোলন করে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে অপরাধ করেছেন বলে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় ৫টি মামলা করেন।

২০১২ সালের ৭ নভেম্বর ৫ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এই পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ পৃথক সিদ্ধান্ত দেওয়ায় পরে অন্য একটি বেঞ্চে পাঠানো হয়। ওই বেঞ্চ ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে রায় দেন। জমির উদ্দিন সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত বছরের ২৫ আগস্ট আপিল বিভাগ ৫টি মামলায় বাতিল করেন। তবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে তার উত্তোলনকৃত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।

নির্দেশে বলা হয়, আপিল বিভাগের আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছানোর পর ছয় মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে।

বিশেষ জজ আদালত-৭ এ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ পৌঁছায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি। এরপর জমির উদ্দিন সরকার টাকা ফেরত দেন।

উল্লেখ্য, এসব মামলার অপর আসামি জাতীয় সংসদের তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :