ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

​রিপন আল মামুন
  প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২৩, ১১:৪০
অ- অ+

প্রতিবছরই এ দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে এবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ইতোমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। গত কয়েকদিনের পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু দুটোই আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে। আর এখন ডেঙ্গুর অনুকূল মৌসুমও চলছে। বাংলাদেশের সাধারণত জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ সময়টাতে সাধারণত বাংলাদেশে বর্ষাকাল থাকে। চারদিকে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ ও থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় বর্ষার পানি জমে থাকে। আর এই জমে থাকা পানিতে জন্ম নেয় ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশা।

ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এই এডিস মশার কামড়ানোর ফলেই মানুষের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রবেশ করে। এই এডিস মশা জমাটবদ্ধ পানিতে বংশবিস্তার করে। এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় মানুষকে কামড়ায়। এ মশার বংশবিস্তারের উপযোগী বিভিন্ন আধার, যেমন, কাপ, টব, টায়ার, ডাবের খোলস, গর্ত, ছাদ ইত্যাদিতে আটকে থাকা পানি। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদেরকে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশাকেই আগে নিরোধ করতে হবে। মূলত এডিস মশার কামড় এড়িয়ে চলাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায়। তাই মশার আবাসস্থল ধ্বংস করে মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী বিভিন্ন আধারে, যেমন, কাপ, টব, টায়ার, ডাবের খোলস, গর্ত, ছাদ ইত্যাদিতে আটকে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে।

তাছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতা অবশ্যই জরুরি। জ্বর, মাথাব্যথা(সাধারণতঃ দু’চোখের মাঝে), মাংশপেশি ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা, এবং র‍্যাশ বেরোনো

এই উপসর্গগুলো যদি কারো মধ্যে দেখা দেয় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে সে ডেঙ্গু আক্রান্ত। তাকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের মূল চিকিৎসা হলো শরীরে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাপনা। পানির পাশাপাশি ফলের রস, স্যুপ, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি, শরবত প্রভৃতি তরল খাবার খাওয়াতে হবে। আর শারীরিক অবস্থার গতিবিধি লক্ষ্য করে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই সহজ। পারিবারিক সামাজিক এবং জাতীয় সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে। আমরা সবাই যদি সচেতন ভাবে আমাদের চারপাশটা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখি এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করে দেই তাহলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব একেবারেই কমে যাবে। আর এজন্য আমাদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা উচিত।

লেখক: রিপন আল মামুন, শিক্ষার্থী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ: রফিকুল ইসলাম 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা