বরিশালে ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটির হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটির লোকজন বহিরাগতদের নিয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তোলার সময় সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেছেন তারা।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর বিএম কলেজ রোডে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বিতর্কিত ছাত্রলীগ কমিটির একাংশ। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা ভোগান্তির শিকার হয় নগরবাসী।
এ সময়ে পুলিশের উপস্থিতিতে এক সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে আন্দোলনরত কয়েকজন তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনে ও তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা ওই সাংবাদিককে নিরাপদে সরিয়ে আনেন।
সড়ক অবরোধ করার কারন জানতে গেলে জানা যায়, তাদের এক সহপাঠীকে মারধরের প্রতিবাদে রাস্তা আটকিয়ে নগরবাসীর ভোগান্তি করে এই কর্মসূচী দিয়েছেন মেয়র সাদিক পন্থীরা। তবে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ সদস্যই জানেন না কী কারণে এই অবরোধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারী বেশিরভাগ সদস্যই কোন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী নয়।
এ বিষয়টি ভিডিও ধারণ করলে চোখে পড়ে আন্দোলনরত কয়েকজনের।
ভিডিও ধারণ করায় ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে তেড়ে আসেন কয়েকজন কথিত ছাত্রলীগ সদস্য এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ বন্ধ করার জন্য হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। বিষয়টি উপস্থিত প্রশাসনের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক ওই সাংবাদিককে নিরাপদে নিয়ে আসেন তারা।
সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে কর্মরত সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই বেশিরভাগই স্কুল ছাত্র এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন। এমন দৃশ্য ভিডিও করতে গেলে আন্দোলনরত কয়েকজন আমার দিকে তেড়ে আসেন যাতে ভিডিও না করি। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।
উল্লেখ্য সড়ক অবরোধের এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপি পরিবারের সদস্য ও নগরীর আলোচিত টপ টেন মামলার অন্যতম আসামি মাজহারুল ইসলাম সোহান।
ছাত্রদল নেতার ছোটভাই সোহান তাদের নব্য বিতর্কিত কমিটির জানান দিতেই নগরবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলে করেছেন এই সড়ক অবরোধ।
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এআর)

মন্তব্য করুন