কৃষকের বরাদ্দের ৫০০ বস্তা ইউরিয়া সার পাচারকালে গ্রেপ্তার ১
দিনাজপুর জেলা গোয়ন্দা শাখার (ডিবি) তৎপরতায় সরকারিভাবে কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত ইউরিয়া সার কালোবাজারে পাচারকালে ৫০০ বস্তা সার বোঝাই একটি ট্রাকসহ ১ জনকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) আবদুল্লাহ আল মাসুম।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত ২২ জুলাই জেলা গোয়েন্দা শাখার জিডি নং ১৮৬ মূলে কোতয়ালী থানাসহ অত্র জেলার বিরল ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় চুরি ছিনতাই প্রতিরোধ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার ডিউটি করাকালীন সময়ে পুলিশ সুপার মো. শাহ ইফতেখার আহম্মেদ পিপিএম এর দিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অভিযান করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর আনুমানিক ১টার সময় দিনাজপুর কোতয়ালী থানাধীন পুলহাট বিসিআইসি (বাফার) সার গোডাউন থেকে কতিপয় চোরাকারবারি এক ট্রাক ইউরিয়া সার (যার মূল্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা) অবৈধভাবে পাচারকালে ৪টা ১৫মিনিটে বোচাগঞ্জ উপজেলার দকচাই মোড়ে সার ডেলিভারি নিতে আসা বোচাগঞ্জ থানার কেরাল গাঁও এলাকার মো. নূরুল ইসলামের ছেলে মো. সাদেকুল ইসলামকে (৩৮) সার বোঝাই ট্রাকসহ (যার রেজি নং ঢাকা মেট্রো -ট-২০-১৩৫৫) হাতে নাতে আটক করা হয়। মো. সাদেকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামি শামীমসহ অজ্ঞাতনামা ডিলার ও বাফার কতিপয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির যোগসাজসে উক্ত সরকারি বরাদ্দকৃত সার গুলি কালোবাজারে পাচার করা হতো বলে তিনি জানায়।এ ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন আসামির কাছ থেকে এর মুল হোতাদের তথ্য নিতে আদালতের কাছে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে যত বড় নেতা বা কর্মকর্তাই জড়িত থাকুক না কেন কাউকেই ছার দেয়া হবে না। পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিকল্পনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্য এফএম মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক মো. মোতালেব হোসেনসহ সংগীয় ফোর্সের সহায়তায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। আসামি মো. সাদেকুল ইসলাম এবং পলাতক আসামি শামীমসহ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে বোচাগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়। যার এফআইআর নং-১৪।
সার বহনকারী ট্রাকের চালক হাবীব বলেন, আমি পাবনা থেকে ট্রাক লোড করে দিনাজপুরে এসেছি। এখানে এসে পুলহাট সার গোডাউন থেকে শামীম নামের একজন সার নিয়ে বোচাগঞ্জ পৌঁছায় দিতে বলেছে এর থেকে আমি আর কিছু জানি না।পুলহাট সার গোডাউনের বিসিআইসি (বাফার) ইনচার্য মো. মাহাবুব আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি।
মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি বাসায় অবস্থান করায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয় সার কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের বের করে পারবর্তীতে এ তথ্য জানানো হবে।
এছাড়াও দিনাজপুর জেলা পুলিশের নির্দেশনায় বিশেষ ধরনের অপরাধ পরিলক্ষিত হওয়ায় কম্বাইন্ড ইউনিট অপারেশনাল টিমকে মাঠে নামানোর পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম বন্ধে জেলা পুলিশ বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।যা ইতি পূর্বে হারিয়ে যাওয়া, ছিনতাই হওয়া, চুরি যাওয়া অনেক মোবাইল উদ্ধার করে মোবাইলের প্রকৃত মালিকদের ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম বন্ধে জেলা পুলিশ বিশেষভাবে কাজ করে চলছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান।
(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এআর)