চিকিৎসকের সঙ্গে হাতাহাতি: বাদীর অনাপত্তিতে জামিন পেলেন রোগীর বাবা

মামলার বাদীর অনাপত্তিতে জামিন পেয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু আদিবার বাবা মো. হাবিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে পুলিশ। ওই সময়ে আদালতে হাজির হন মামলার বাদী মুগদা হাসপাতালের চিকিৎসক। আবার আসামি হাবিবুর রহমানের আইনজীবী মামলায় জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর আদালতের নিবন্ধন শাখার মুগদা থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও)। তিনি বলেন, ওই মামলায় সব কয়টি ধারাই জামিনযোগ্য। তারপরে আদালতে এসে বাদী জামিনের বিরোধিতা করেননি। পরে আদালত মানবিক কারণে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুসন্তানকে ভর্তি করতে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা হাবিবুর রহমান নামের ওই ভুক্তভোগীকে মারধোর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে মুগদা থানায় একটি মামলা করা হয়।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, এটা একটি সাধারণ মারামারির মামলা। তাই আমরা কোনো রিমান্ডের আবেদন করিনি।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, ওই রোগীর বাবা ডিউটিরত ডাক্তারকে মারধর করলে তারা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। রোগীর স্বজনরা দাবি করছেন, চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে ওই রোগীর বাবাকে রুমে আটকে বেধড়ক মারধর করেছেন। এর পর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, মুগদা হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
রোগীর স্বজনদের ভাষ্য, ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুসন্তানকে দুপুরে মুগদা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান হাবিব। কিন্তু জায়গা খালি না থাকায় তার সন্তানকে ভর্তি না করে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে বলেন জরুরি বিভাগ থেকে। তখন হাবিব ডিউটিরত ডাক্তারকে ডেকে তার সন্তানের শারীরিক অবস্থাটা দেখতে বলেন। কিন্তু ডাক্তার বিশ্রাম নিচ্ছে বলে তাকে চলে যেতে বলা হয়। এর পর হাবিব সেখানে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন।
একপর্যায়ে ডাক্তার এলে তার সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে হাবিব উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাকে ডাক্তার ওয়ার্ডবয়সহ অন্যরা টেনে-হিঁচড়ে একটি রুমে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ প্রথমে আটক দেখালেও পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করলে তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এএ/কেএম)

মন্তব্য করুন