শেরপুরে কোরআন পোড়ানোর মামলায় বিএনপি-জামাতের ৭ নেতাকর্মী কারাগারে

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মামলায় বিএনপি-জামাতের ৭ নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো- কোরআন পোড়ানোর মামলায় বিএনপি নেতা জাহিদুল হক (৩৪), বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মামলায় তারাগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) ও সাবেক শিবির নেতা আব্দুল্লাহ বাদশা (৫০), রূপনারায়নকুঁড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান (৫০), শহর জামায়াতের আমীর আইয়ুব আলী (৪৫), বিএনপি নেতা সোহেল রানা (৩৯), ছাত্রদল কর্মী রেজাউল করিম (২৬), মাসুম পারভেজ (২১)।
স্থানীয়রা জানায়, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে পরিকল্পিতভাবে সংঘাত ও দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মাদরাসায় কোরআন শরীফ পোড়ানো ও পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ মানুষকে উস্কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই ছিল অভিযুক্তদের মূল উদ্দেশ্য।
সূত্র জানায়, উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া ক্বেরাতিয়া মাদরাসায় সপ্তাহের শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকালে শুধুমাত্র কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই মাদরাসায় স্থানীয় মুসল্লিরা নিজ উদ্যোগে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন। ফলে মাদরাসাটির দরজা সিটকিনি দিয়ে লাগানো থাকে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে অপরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির লক্ষ্যে কতিপয় দুর্বৃত্ত মাদরাসার রেকে রেখে দেওয়া অন্তত ৩০টি কোরআন শরীফ ও বেশকিছু কায়দা-ছিপাড়া পুড়িয়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, গান পাউডার বা দাহ্য কোন পদার্থ দিয়ে ওইসব পোড়ানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় এক মুসল্লি ফজরের নামায আদায় করতে গেলে মেঝেতে কোরআন শরীফগুলো পুড়তে দেখেন। পরে খবর দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। একপর্যায়ে প্রশাসনের লোকজনও ঘটনাস্থলে যান।
পরে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ধারায় দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম ও সাফায়েত গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন