রবিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৩১শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার সকালে নতুন ভবনের উদ্বোধন করবে ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ মন্ত্রী স্বাস্থ্যব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎফুল্লতা বিরাজ করছে। সাজসজ্জা করা হয়েছে পুরো হাসপাতাল এলাকা।
উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর বলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবার মান বাড়লেও জনবল সঙ্কটের কারণে ভোগান্তির অন্ত নেই। মন্ত্রী আসছেন আশা করি তিনি আমাদের আরও সুখবর দিবেন।
সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া বলেন,আমাদের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ভাইয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামোগত বেশ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কিন্তু জনবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমার হাসপাতালে দ্রুত জনবল সংকট দুর করে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির দাবী জানাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ায় এবং জনবল সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারলে প্রত্যন্ত এলাকার অধিকসংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান উন্নীত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় এবং ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আধুনিকায়ন এবং ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সালেহীন খান বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি যোগদানের পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান উন্নীত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে হাসাপাতালে জনবল সঙ্কট। এই বিষয় উর্ধবতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনিও আরও জানান,হাসপাতালে ইতোমধ্যে কোভিডের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হয়েছে। এছাড়াও হাসাপাতালে সেন্টার অক্সিজেন সাপ্লাই প্ল্যান্ট স্থাপন,২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যাকলীন ডায়রিয়া প্রতিরোধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন, ওষুধ বিতরণ, ইপিআই ভেকসিন এবং কোভিড ভেকসিন নৌকাযোগে ওয়ার্ড পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়।
এছাড়াও সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটার চালু, অটি লাইট, এনেস্থিসিয়া মেশিন স্থাপন, হাইড্রোলিক বেড মেরামত, এক্সরে মেশিন চালু, এ্যাম্বুলেন্স চালু, নবজাতকের জন্য রেডিয়েন্ট ওয়ারমার চালু, গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মা-সমাবেশ চালু, বিনা মূল্যে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা, ইমার্জেন্সিতে ২৪ ঘন্টা ইসিজি চালু, ডেঙ্গু টেষ্ট, বিনা মূল্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় এনসিডি কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। আমিসহ আমরা অধীনস্থ কর্মকর্তাগণ সবোচ্ছ চেষ্টা করছি চিকিৎসা সেবা দিতে।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/এআর)

মন্তব্য করুন