দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলে বাড়ে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০২৩, ১০:১৮

গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা ক্রমশ দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। গলা-বুক জ্বালা, কারও চোঁয়া ঢেকুর কিংবা বমি, কারও আবার পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা। চটজলদি আরাম পেতে সবার ভরসা অ্যান্টাসিড বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে গেলে যে শরীরে অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তার তোয়াক্কাই করেন না কেউ কেউ। তবে কথায় কথায় গ্যাস বা হজমের সমস্যা আর মুঠো মুঠো নিজের মতে ওষুধ খেয়ে তার সমাধান মোটেই ভাল অভ্যাস নয়। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে ক্ষতি হয় এমন ওষুধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করতে হবে। প্রত্যেককে এটা জানানো প্রয়োজন যে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেলে তা তাদেরকে ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, কথায় কথায় গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসেই বাড়ছে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজি’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। অত্যধিক পরিমাণে গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলেই ডিমেনশিয়ার মতো রোগ বাড়ছে বলে মত গবেষকদের।

যারা প্রয়োজন ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন তাদের ভবিষ্যতে আয়রন, ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়ামের অভাব দেখা দেবে। এমনকি হাড় ক্ষয়, অল্প আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা সেই সঙ্গে শরীরে কিছু রোগজীবাণু প্রবেশের সক্ষমতা বেড়ে যাবে। এমনকি কিডনিতে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বলতে মূলত গ্যাস্ট্রাইটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার বা আলসারজনিত বদহজমের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধকেই বোঝায়। ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, প্যানটোপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল, রেবিপ্রাজল, ফেমিটিডিন, অ্যান্টাসিড প্রভৃতি সর্বাধিক প্রচলিত ও বিক্রীত ওষুধগুলোই সাধারণ মানুষের কাছে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নামে বেশি পরিচিত। গ্যাস্ট্রাইটিস কিংবা গ্যাস্ট্রিক আলসারে সাধারণত নাভির ওপরে পেটে ব্যথা হয় যা খালি পেটে অথবা ভোররাতের দিকে তীব্র হয়, সঙ্গে গলা-বুক-পেট জ্বলে ও টক ঢেঁকুর ওঠে। ঝাল-তেল-মসলাজাতীয় খাবারে এই সমস্যা আরও বেশি হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে অধিকাংশ সাধারণ মানুষই যেকোনো পেট ব্যথা মানেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বলে মনে করেন।

সাধারণ আলসারের ওষুধ ওমিপ্রাজল বেশিদিন একটানা খাওয়ার ফলে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে বলে জানা গেছে। ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। কমে যেতে পারে রক্তে ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম। হতে পারে বিভিন্ন সংক্রমণ।

পেটের সমস্যায় অনেকে অ্যান্টাসিড-জাতীয় বড়ি বা সিরাপ খেয়ে থাকেন। অ্যান্টাসিডের বিভিন্ন উপাদান ভেদে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া।

অন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক উপাদানের শোষণ কমে যেতে পারে। অ্যান্টাসিড নিয়মিত খেলে কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়ে। বয়স্ক ও হৃদরোগীদের জন্য বেশি ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ অ্যান্টাসিড ভালো নয়। যেকোনো অ্যান্টাসিডই অন্য ওষুধের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর, এই শ্রেণীর ওষুধগুলো গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি) এবং অন্যান্য অ্যাসিড-সম্পর্কিত অসুখে প্রধানত ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধগুলো এসিড রিফ্লাক্স, পেপটিক আলসার, এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যায় খুবই কার্যকর হওয়ায় এর ব্যবহার অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এর অপব্যাবহার এবং পরামর্শ ছাড়া লম্বা সময় বা আমৃত্যু ব্যবহার করেই যাচ্ছেন অনেকে।

দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণে হাইপারগ্যাস্ট্রিনেমিয়া হয়ে থাকে। কমপক্ষে ১৫ বছর ধরে যারা এই শ্রেণীর ওষুধ গ্রহণ করে থাকে তাদের এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। হাইপারগ্যাস্ট্রিনেমিয়াতে রোগী ওষুধ বন্ধ করার পর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো ভয়ানক আকার ধারণ করে। এই সমস্যা এড়াতে ডাক্তারের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের পরে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

দেশে প্রায় ৭০-৮০% মানুষই অপ্রয়োজনে প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর বা অ্যান্টি আলসারেন্ট জাতীয় ওষুধ সেবন করে থাকেন এবং এদের অধিকাংশই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যখন-তখন এবং টানা দীর্ঘদিন এইসব ওষুধ গ্রহণ করেন। বেশির ভাগ মানুষেরই ধারণা, এইসব ওষুধের কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। কিন্তু কোনো ওষুধই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত নয়।

প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পরিপাক এবং খাবারের জীবাণু ধ্বংসে পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া খাবারের লৌহ শোষণেও এর ভূমিকা অপরিসীম। লৌহ আমাদের রক্তকণিকা ও মাংসপেশি গঠনে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও স্নায়ুবিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধগুলোর মূল কাজ পাকস্থলীর এই এসিড নিঃসরণ কমিয়ে দেওয়া। এতে পাকস্থলীর অম্লতা কমে যায়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিছুটা লাঘব হয় কিন্তু বিভিন্ন স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কাজে ব্যাঘাতও ঘটে।

এ ছাড়া শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণও বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে শরীরে বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি রক্তশূন্যতা, হাড়ের ক্ষয়রোগ, বৃক্কের কার্যকারিতা হ্রাস এবং গ্যাস্ট্রিক পলিপের মতো রোগের আশঙ্কা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। পাকস্থলীতে হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকলে আলসার বা এসিডিটি সহজে সারে না। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চিকিৎসা আছে, যা রোগ নির্ণয় করে নির্দিষ্ট মেয়াদে গ্রহণ করতে হয়। শুধু প্রোটন-পাম্প ইনহিবিটর জাতীয় ওষুধ খেয়ে গেলে তা আরোগ্য হয় না। আবার দীর্ঘদিন এসিডিটির ব্যথা, হজমের সমস্যা, গ্যাস বা পেট ফাঁপার পেছনে পিত্তথলির সমস্যা কিংবা পাকস্থলীর ক্যানসারের মতো অন্যান্য কারণও থাকতে পারে। এ কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় বছরের পর বছর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

প্রতিদিনকার জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এবং খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার সংযোজন করলেই নিত্যদিনের এই সমস্যা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, সামান্য কিছু নিয়মবিধি মেনে চললে কয়েকদিনের মধ্যেই গ্যাস বা হজমের সমস্যা চিরবিদায়। জেনে নিন হজমের সমস্যা থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক উপায়:

কলা

কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে এটি প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলেই আপনার গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনা কমবে।

তুলসি পাতা

তুলসি পাতা পাকস্থলিতে শ্লেষ্মার মতো পদার্থ উৎপাদন বাড়াতে উদ্দীপনা যোগায়। তুলসি পাতায় শীতলীকরণ এবং বায়ুনাশক উপাদান রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির কার্যকারিতা কমাতে সহায়ক। গ্যাসের সমস্যা হলেই ৫-৬টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। অথবা ৩-৪টি তুলসি পাতা সিদ্ধ করে সেই পানিতে একটু মধু মিশিয়ে খেলে চটজলদি আরাম পাবেন।

দারুচিনি

দারুচিনিতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। আধ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা করে পান করুন। প্রতিদিন এভাবে তিনবার দারুচিনি মিশ্রিত পানি পান করলেই আরাম পাবেন।

পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা অ্যাসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও আছে যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে গলা, বুক জ্বালা কমায়। কয়েকটি পুদিনা পাতা একটি পাত্রের জলে নিয়ে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে পান করলে উপকার।

মৌরি

তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাসিড কমিয়ে স্বস্তি দিতে পারে মৌরি। খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খেলে এই উপকার পাওয়া যায়। বদহজম এবং পেট ফাঁপার চিকিৎসায়ও এটি বেশ কার্যকর। এক গ্লাস জলে কয়েকটি মৌরি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে তা পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং গ্যাস অম্বলের সম্ভাবনাও কমবে।

টক দই

টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে। এর সঙ্গে গোলমরিচ যোগ করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে। টক দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে।

লবঙ্গ

লবঙ্গ পাকস্থলীর গ্যাস উৎপাদন প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে উপকার।

ডাবের পানি

ডাবের পানি পাকস্থলীতে শ্লেষ্মা উৎপাদনে সহায়ক। যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত গ্যাস জমতে দেয় না। ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হয়।

ঠাণ্ডা দুধ

ঠাণ্ডা দুধ খেলে পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড স্থিতিশীল হয়ে আসে। দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি প্রতিরোধ করে। তাই অ্যাসিডিটির সমস্যা হলেই এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন।

শাক-সবজি

শাক-সবজি খেলে হজমের সমস্যা আপনাআপনিই অনেকটা কমে আসে। কারণ, শাক-সবজি দ্রুত হজম হয় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। সবচেয়ে ভাল হয় যেসব সবজি কাঁচা খাওয়া যায়, সেগুলি যদি খাওয়া যায়। এতে হজমশক্তি আরও উন্নত হয়।

এলাচ

এলাচ হজম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এটি অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের সম্ভাবনা দূর করে। গ্যাস অম্বলের সমস্যায় দুটি এলাচ গুঁড়ো করে জলে ফুটিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

আদা কুচি

আদা কুচি করে বিট নুন দিয়ে খেলে গ্যাস,অম্বল রোধে অত্যন্ত ভাল ফল পাওয়া যায়।

গ্রিন টি

হজমশক্তি বাড়ানো এবং হজমসংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে গ্রিন টি অতুলনীয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি হজমশক্তি বাড়ায় এবং আমাদের পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

নারিকেল

পেটের সমস্যায় যদি অহরহ ভুগে থাকেন, তা হলে সুস্থ থাকার একমাত্র ওষুধ কিন্তু নারিকেল। অনেকেরই ধারণা, নারকেল খেলে গ্যাস হয়। তাই এই ফলটি সচেতন ভাবেই এড়িয়ে চলেন কেউ কেউ। কিন্তু নারিকেল যাদের সহজেই হজম হয়, তারা এই ফলটি খেতে পারেন। উপকার পাবেন।

পেয়ারা

ভরপুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে পেয়ারায়। ফলে হজমজনিত যে কোনও সমস্যায় পেয়ারা কার্যকর। তবে পেয়ারা খেলে যদি পেট ফাঁপে, তা হলে না খাওয়াই ভাল। কিন্তু এমনিতে পেয়ারার মতো উপকারী ফল খুব কমই রয়েছে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পেয়ারা খেতেই পারেন।

লেবুর রস

একটি মাঝারি আকৃতির লেবু চিপে রস বের করে নিন। এরবার লেবুর রসের সাথে আধা টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক কাপ পানি মিশিয়ে নিন।বেকিং সোডা ভালো করে মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়ুন। এবার মিশ্রণটি খেয়ে নিন। নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় সাথে সাথে আরাম পেতে চাইলে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে।

জীবনধারায় পরিবর্তন

রাতে খাওয়ার অন্তত এক থেকে দু’ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান। পারলে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন অন্তত আধ ঘন্টা এক্সারসাইজ, যোগা করুন।

একেবারে অনেকটা না খেয়ে অল্প পরিমাণে বার বার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। এতে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। প্রতি দু’ঘন্টা অন্তর কিছু খাওয়ার চেষ্টা করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, কারণ- স্থূলতা হজমের সমস্যা হওয়ার একটি বড় কারণ।

সারাদিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করতে হবে। পারলে মাঝে মাঝে ইষৎ উষ্ণ পানি পান করতে পারেন। বাইরের অতিরিক্ত মশলাযুক্ত কিংবা তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে সবসময় মানসিকভাবে হালকা থাকার চেষ্টা করুন।

(ঢাকাটাইমস/১২ আগস্ট/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :