তারা ভারত যেতেন রোগী সেজে, বিমানে ফিরতেন মাদক নিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৩
অ- অ+

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ট্যাপেন্টাডল নামের মাদকসহ পাঁচ কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

সংস্থাটি বলছে, এই চক্রের সদস্যরা রোগী সেজে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেতেন। এরপর সেখান থেকে বিমানে করে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে ফিরে আসতেন। প্রতিমাসে তারা অন্তত ৪/৫ বার এভাবে যাতায়াত করতেন।

এই ঘটনায় চক্রের মূল হোতা সোলাইমান, হৃদয় ইসলাম রাজু, এ কে এম আবু সাইদ, আশীক সাইফ ও মো. ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাদের সঙ্গে আনা লাগেজ থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস ‘খ শ্রেণির’ নিষিদ্ধ মাদক ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অধিদপ্তরের মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল একটি চক্র পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টাডলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। চক্রের মূলহোতা সোলাইমান প্রতি মাসে মাসে ৪ থেকে ৫ বার ভারতের কলকাতায় যাতায়াত করত। এরপর বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসত। এ কাজে তার একাধিক সহযোগিকে ব্যবহার করত। গত আগস্ট মাসে এ চক্রের একজন সদস্যকে ফেনসিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়।

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা মূলত দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে রোগীর চিকিৎসার কথা বলে ভারতে যেত। এরপর কয়েকদিন অবস্থান শেষে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে আসত।

বিমানবন্দর থেকে যেভাবে গ্রেপ্তার:

চক্রের সদস্যরা ভারতে গিয়ে কয়েকদিন অবস্থান করত। এরপর বিমানে করে দেশে আসত। চক্রের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে আসার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অবস্থান নেয়। চক্রের সদস্যরা অ্যারাইভাল এন্ট্রি গেট দিয়ে প্রবেশের সময় সোলাইমান ও সহযোগীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করত। ইমিগ্রেশন শেষ করে ল্যাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম শেষ করে। সেখান থেকে বের হয়ে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় পাঁচজনকে লাগেজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সবার ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে ৪২ হাজার ২০০ পিস মাদক উদ্ধার করা হয়।

ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/এসএস/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দায়িত্ব নিয়েই হেভিওয়েট আ.লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির প্রশংসায় জুলকারনাইন সায়ের
ফের একাধিক প্রদেশে ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, বিস্ফোরণ-গোলাগুলি
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের বাড়িতে আ.লীগ নেতার হামলা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক
পুশ ইন ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার বিজিবির
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা