জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পুনরায় যোগ দিতে চাচ্ছে রাশিয়া
রাশিয়া একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পুনরায় যোগ দিতে চাচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে অংশগ্রহণ রাশিয়ার আন্তর্জাতিক অবস্থানের মূল পরীক্ষা হিসেবে দেখা হবে বলে বিবেচনা করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গত বছর এপ্রিলে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু এখন রাশিয়ান কূটনীতিকরা তাদের দেশকে নতুন করে পুনরায় তিন বছর মেয়াদের জন্য কাউন্সিলে নির্বাচিত করতে চাইছেন।
রাশিয়া জাতিসংঘের সদস্যদের কাছে তাদের অবস্থানের জন্য সমর্থন চেয়ে যে কাগজটি প্রচার করছে তার একটি অনুলিপি বিবিসির কাছে পৌঁছায়। বিবিসির দেখা নথিতে, রাশিয়া মানবাধিকার সমস্যাগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সমাধান খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং কাউন্সিলকে একটি পশ্চিমা গোষ্ঠী দেশের রাজনৈতিক ইচ্ছা পূরণকারী উপকরণ হয়ে ওঠা থেকে বন্ধ করতে বলেছে।
ইউক্রেনে এবং তার নিজস্ব সীমানার মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। সোমবার মানবাধিকার কাউন্সিলের কাছে ইউক্রেনের তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এই অপব্যবহারের সর্বশেষ প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এরিক মোসে বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ ও হামলাসহ যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
৪৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল জেনেভায় অবস্থিত। প্রত্যেকে সদস্য রাষ্ট্র তিন বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়। আগামী ১০ অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
রাশিয়া পরবর্তী নির্বাচনে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য সংরক্ষিত কাউন্সিলের দুটি আসনের জন্য আলবেনিয়া এবং বুলগেরিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩ জন সদস্য এই ভোটে অংশগ্রহণ করবেন। সেখানকার কূটনীতিকরা বলছেন যে রাশিয়া আক্রমণাত্মকভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং ছোট দেশগুলোকে তাদের ভোটের বিনিময়ে শস্য ও অস্ত্র সরবরাহ করার প্রস্তাব দিচ্ছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে রাশিয়াকে মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৯৩ জন সদস্য পক্ষে, ২৪ জন বিপক্ষে এবং ৫৮ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। রাশিয়া তার সদস্যপদ হারানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দায়ী করছে। সূত্র বিবিসি।
(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/জেডএএ/এফএ)