বেশি লাভের আশায় কাঁচা ডিম খাচ্ছেন? কী মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জানুন

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১৭ | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৭

ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি সাধারণ সিদ্ধ, পোজ এবং মামলেট করে খাওয়া হয় আমাদের দেশে। অনেকে আবার ডিম দিয়ে নানা পদের সবজিও রান্না করেন। আবার ডিম দিয়ে কেক, পুডিংসহ নানা মুখরোচক ডেসার্টও (মিষ্টির পদ) বানানো হয়।

ডিমে রয়েছে শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন, খনিজ, ভালো ফ্যাট এবং প্রোটিনের ভাণ্ডার। তাই ডিমকে সুষম খাদ্য বলতেও পিছপা হন না পুষ্টিবিদদের একাংশ। কিন্তু এক দল আছেন যারা অধিক লাভের আশায় সরাসরি কাঁচা ডিমই গিলে খেয়ে ফেলেন।

তাদের ধারণা, কাঁচা ডিম খেলে নাকি বেশি উপকার মিলবে। এমনকি এভাবে ডিম খেলে নাকি দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটতেও সময় লাগবে না! পাশাপাশি কাঁচা ডিম খেলে নাকি যৌনশক্তিও বৃদ্ধি পায়। তাই অনেকে হামলে পড়েন কাঁচা ডিমের ওপর।

এখন প্রশ্ন হলো, আদৌ কি কাঁচা ডিম খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতির আশঙ্কাই থাকে বেশি? এ বিষয়ে কী বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? তাদের মত, কাঁচা ডিম খেলে দেহের উপকারের পরিবর্তে অপকারই হবে। এমনকি এই বদভ্যাসের কারণে একাধিক রোগের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে!

তাই কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই শুধরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। নইলে কিন্তু এসব সমস্যার ফাঁদে পড়তে সময় লাগবে না…

পিছু নেবে রোগ জীবাণু

কাঁচা ডিম খেলে শরীরে প্রবেশ করতে পারে সালমোনেল্লা বা ওই ধরনের একাধিক জীবাণু। একবার এসব ব্যাকটেরিয়ার ফাঁদে পড়লে সমস্যার শেষ থাকবে না। সেক্ষেত্রে রোগী পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং বমির মতো সমস্যার খপ্পরে পড়তে পারেন।

এমনকি ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতেও পারে। তখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছা থাকলে কাঁচা ডিম খাবেন না।

সমস্যা বাঁধাবে অ্যাভিডিন

কাঁচা ডিমে রয়েছে অ্যাভিডিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান কিন্তু অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি এই উপাদানের কারসাজিতে আমাদের শরীর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বায়োটিন নামক ভিটামিনকে গ্রহণ করতে পারে না। এই কারণেই একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছা থাকলে কাঁচা ডিম না খাওয়াই মঙ্গল।

হাফ বয়েলও নৈব নৈব

আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার হাফ বয়েল প্রেমী। তবে কাঁচা ডিম খাওয়ার মতো হাফ বয়েল ডিম খেলেও ঠিক একই ধরনের সমস্যার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই এখন থেকে ডিম হাফ বয়েল করে খাওয়ার লোভ সামলান। বরং সুস্থ-থাকার ইচ্ছে থাকলে প্রতিদিন ডিম সিদ্ধ করে খেতে হবে। এতে দেহে পুষ্টির ঘাটতিও দূর হবে। এমনকি এড়ানো যাবে একাধিক রোগের ফাঁদ।

প্রতিদিনই কি ডিম খাওয়া যায়?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো সুস্থ ব্যক্তি দিনে একটা গোটা ডিম খেতেই পারেন। তবে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার ও হাই কোলেস্টেরলের মতো অসুখ থাকলে গোটা ডিম খাওয়া উচিত হবে না। বরং আপনারা ডিমের সাদা অংশ খান। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :