রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর।

রবিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর উত্তর বাড্ডা ওভার ব্রিজের নিচ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেরুল বাড্ডায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে উপস্থিতি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দীন, ছাত্রনেতা সালাহ উদ্দীন, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘অপশাসন ও দুঃশাসনের কারণে গণবিচ্ছিন্ন ও কূটনৈতিক বিপর্যয়ে পতনাতঙ্কে সরকার এখন পালানোর পথ খুঁজছে। জুলুমবাজ ও নৈশভোটের সরকার ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, লুণ্ঠন ও অর্থপাচার করে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। অনিয়ন্ত্রিত লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি এখন খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ কমছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেকের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক ‘

‘দুর্নীতিবাজরা জনগণের টাকা বিদেশে প্রচার করেছে’ মন্তব্য করে সে টাকা দেশে ফেরত আনার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সরকার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও ঢাকা মহানগরী উত্তর আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সারাদেশে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বায়বীয় মামলা দিয়ে ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চালাচ্ছে। বাকশালী ও জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে রেহাই পায়নি দেশবরেণ্য আলেম-ওলামাও। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমী ও ব্যারিস্টার আরমানসহ অনেক বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ মেয়াদে গুম করে রাখা হয়েছে। তাই এই ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে নৈশভোটের সরকারের পতনের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি সরকারকে অপরাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে গুম-খুন বন্ধ ও ডা. শফিকুর রহমানসহ সব শীর্ষনেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

তিনি নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার সরকারি ষড়যন্ত্র জনগণ কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। বরং সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি আদায়ে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবে।’

তিনি কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে সবাইকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান এবং জনতার বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাসায় ফেরার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ১৫-২০ জনকে আটক করে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াত।

ঢাকাটাইমস/১অক্টোবর/জেবি/এফএ)