৪০ বছরের পুরনো বিআইডব্লিউটিসির কিশোরী ফেরি থেকে নোঙর উধাও!
চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৫| আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৬

চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে চলাচলকারী কিশোরী ফেরির নোঙর চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মাস্টার জীবন সারোয়ারের বিরুদ্ধে। তবে ফেরির নোঙর চুরির ঘটনাটি ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন তিনি।
মাস্টার ও মেরিন অফিসারের দাবি নোঙরটি ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুর্ঘটনাবশত নদীতে পড়ে গেছে। তবে ফেরিতে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা নোঙর চুরি ও নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানে না বলে জানান।
বিআইডব্লিউটিসির কিশোরী সরকারি ফেরিটি থেকে একটি মূল্যবান লৌহ জাতীয় নোঙর উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
কিশোরী ফেরীর মূল্যবান নোঙরটি চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করা হয়েছে এর সঙ্গে মাস্টার জীবন সরোয়ার ও মেরিন অফিসার হারুন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ফেরী থেকে নোঙর চুরি হওয়া নতুবা নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ অনেকের।
কিশোরী ফেরি থেকে নোঙর উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানাজানি হলে ফেরিটি বেশ কয়েকদিন যাবত আলুর বাজার ফেরিঘাটের পশ্চিম পাশে চরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনায় কিশোরী ফেরিতে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা জানান, নোঙর কোথায় গেছে কি হয়েছে তা জানা নেই, তবে নোঙর চুরি হয়েছে কিনা তা সম্পূর্ণ ফেরীর মাস্টার জীবন সরোয়ার জানেন। কিন্তু ফেরি থেকে নোঙর নদীতে পড়ে গিয়েছে কিনা তা জানে না বলে তারা জানান।
এদিকে চাঁদপুর শরীয়তপুর পথে চলাচলকারী ফেরিগুলো থেকে ইতোপূর্বে তেল ও পুরাতন লোহা লক্কর চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনায় ফেরির মাস্টার ও বিআইডব্লিউটিসির কর্তৃপক্ষ জড়িত রয়েছে।
চাঁদপুর ফেরিঘাটের ইনচার্জ মো. ফয়সাল আলম চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, চুরি হওয়ার ঘটনাটি আংশিক সত্য হতে পারে। এ বিষয়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হারুন সাহেব ভালো বলতে পারেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন চাঁদপুর ফেরিঘাটের মেরিন অফিসার হারুনুর রশিদ জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর হরিণা ফেরিঘাট থেকে আলু বাজার ফেরিঘাটে যাওয়ার সময় নোঙরটি নদীতে পড়ে যায়। ৪০ বছরের উপরে পুরনো জাহাজটি। অন্য জাহাজের সঙ্গে ঘষা খেয়েছে শুনেছি। আমি পরিদর্শন করেছি, তবে কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি। নদীতে নোঙরটি পড়ে যাওয়ার পর মাস্টার জানিয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। তবে চুরির বিষয়টি আমি জানি না।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ফেরির মাস্টার জীবন সরোয়ার মুঠোফোনে জানান, এদেশে কত ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম হচ্ছে সেদিকে নজর না দিয়ে ফেরির নোঙর চুরি হয়েছে এই সংবাদ নিতে এসেছেন সাংবাদিকদের আর কোনো কাজ নেই বলে আখ্যায়িত করেন।
এদিকে কিশোরী ফেরি থেকে নোঙর চুরির ঘটনাটি তদন্ত টিম গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান সচেতন মহল।
ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/প্রতিনিধি/ এআর)

মন্তব্য করুন