হাসপাতাল ছাড়লেন এডিসি হারুনের নির্যাতনে আহত ছাত্রলীগ নেতা
তিন সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছাড়লেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম। সোমবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন। হারুনের নির্যাতনে আহত আরেক ছাত্রলীগ নেতা শরীফ আহমেদ মুনিম ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শাহবাগ থানা হেফাজতে এডিসি হারুন অর রশীদ ও পুলিশের কতিপয় সদস্যের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পুলিশের নির্মম প্রহারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা নাঈমের পাঁচটি দাঁত উপড়ে যায়। এতে তার মুখে ও নাক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
শরীফ আহমেদ মুনিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া নাঈম আজ হাসপাতাল ছেড়েছেন। তিনি নিজ গ্রাম গাজীপুরের শ্রীপুরে গেছেন।’
বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থা কি জানতে চাইলে শরীফ বলেন, ‘শরীর কিছুটা সুস্থ হয়েছে। তবে নাকে একটা অপারেশন করতে হবে। তিনি অপারেশনের ভয় পাচ্ছেন। চিকিৎসকরা কয়েকদিন পর আবার আসতে বলেছেন। তবে নাকের অপারেশন করতে হবেই।’
গত ৯ সেপ্টেম্বর নারীঘটিত একটি ঘটনায় শাহবাগ থানা হেফাজতে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্মমভাবে প্রহরের ঘটনায় প্রথমে পিএমও উত্তর বিভাগে বদলি করা হয় হারুন অর রশীদকে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে তাকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে পুলিশ সদরদপ্তর। আদেশের এক সপ্তাহ পর তিনি সেখানে যোগদেন।
বিতর্কিত এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শিক্ষক, আইনজীবী, শিক্ষার্থীসহ অনেককে পেটানোর অভিযোগ আছে। কিন্তু সবসময় পার পেয়ে গেছেন। সবশেষ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে ফেঁসে যান হারুন। থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের পিটিয়ে পরিদর্শক মোস্তফাকে বদলি করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/এসএস/কেএম)