কারসাজি নিয়ন্ত্রণে ডিম আমদানি, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: সফিকুজ্জামান

সরকার বাধ্য হয়ে ডিম আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান। বলেন, যারা ডিমের দাম নিয়ে কারসাজি করছে তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্যই ডিম আমদানি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সফিকুজ্জামান এসব বলেন।
সচেতনতামূলক এই বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। প্রতিযোগিতার আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি, ডলারের মূল্যে ডিভ্যালুয়েশন, ফ্রেইট কস্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ ইত্যাদি কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়লেও দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। যেসব কর্পোরেট কোম্পানী বা বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করে তা গ্রহণযোগ্য নয়। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সব সময় তাদের অভিযান পরিচালনা করছে।
মহাপরিচালক বলেন, আলু ন্যায্যমূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে উৎপাদক পর্যায় থেকে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত অধিদপ্তর লিংকেজ করে দিচ্ছে। যাতে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা যায়। তবে শুধু আলুর দাম কমালেই হবে না, কৃষকদের উৎপাদন খরচও বিবেচনা করতে হবে।
সরকার বাধ্য হয়ে ডিম আমদানি করছে। যারা ডিমের দাম নিয়ে কারসাজি করছে তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্যই ডিম আমদানি করা হচ্ছে বলেও জানান সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনের কিছুটা দুর্বলতার পাশাপাশি জনবল সংকট রয়েছে। ১৭টি জেলায় অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা নেই। তারপরও সারাদেশে প্রতিদিন অধিদপ্তরের ৪০ থেকে ৫০টি টিম দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শুধু বিক্রেতা নয় ক্রেতাসহ সাধারণ জনগণকেও আওয়াজ তুলতে হবে। যাতে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়। সেই লক্ষ্যেই ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে।
হাসান আহমেদন চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেল-জমিমানা বা শাস্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজা-পার্বন বা কোনো উৎসব আসলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না। যোগান থাকা সত্বেও হঠাৎ করে চাহিদা বাড়লে মূল্য বৃদ্ধি করা উচিৎ নয়। তবে দেশে এখনো অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।
কিরন বলেন, যশোরের মাংস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে মাইকিং করে গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কমিয়ে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এটি সিন্ডিকেট, মজুদদার ও অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য বড় একটা উদাহরণ। তিনি চোখে আঙুল দিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন লাভ রেখেও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা যায়। মাংস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামসহ সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারিভাবে স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কিরণ। বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানীর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ন্যায্য দামে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের স্বীকৃতি পেলে তারা আরো বেশি উৎসাহিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা উপস্থিত ছিল। আগামী সপ্তাহে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল এবং পরবর্তিতে গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার হিসেবে পাবে নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং রানারআপ দল পাবে নগদ ১ লক্ষ টাকা।
(ঢাকাটাইমস/০২অক্টোবর/কেআর/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য ওস্তাদজীর কোর্সে শতভাগ ছাড়!

বিদেশি ক্রেতার শর্ত মানে নিশ্চিত নিষেধাজ্ঞা আসছে এমন কিছু নয়: বিজিএমইএ

মিনিস্টারের নির্বাচনি অফার, টিভি-ফ্রিজে ডিসকাউন্ট

পোশাক রপ্তানিতে চীনকে ছাড়িয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ

শেরপুরে রূপালী ব্যাংকের এটিএম বুথ উদ্বোধন

কর্মসংস্থান ব্যাংকের সহকারী অফিসারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে সেবায় যুক্ত হলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন নোয়াখালীর আলাউদ্দিন

বেসিস এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের চুক্তি স্বাক্ষর
