অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যু: সন্দেহের তীর কথিত বন্ধুর দিকে

মারা গেছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। অভিনেত্রীর মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই গুঞ্জন উঠেছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কিন্ত এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সহকর্মীদের ধারণা, এ ঘটনার সঙ্গে হিমির কথিত বন্ধু উরফি জিয়া জড়িত।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হিমুর সহকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে হিমির বাসায় তার বন্ধু উরফি জিয়া প্রবেশ করে। এরপর বিকাল ৫টার দিকে বন্ধু জিয়া ও মেকাপম্যান মিহির হিমিকে রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসক অভিনেত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকাটাইমসকে বিভিন্ন সূত্র জানায়, এদিন উরফি জিয়া হিমুর বাসায় গেলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে রুম থেকে উরফি জিয়া বের হলে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন হিমু।
এদিকে হাসপাতালে উরফিকে আনার পর অভিনেত্রীকে মৃত ঘোষণা করা হলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান উরফি জিয়া। তবে মেক্যাপম্যান মিহির পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এদিন অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রনক হাসান, ডি এ তায়েব, অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিসহ হিমুর দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।
ঢাকাটাইমসকে তারা বলেন, 'হিমু খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তবে মায়ের মৃতুর পর তিনি অনেকটা ভেঙে পড়েন।' তারা জানান, হাসপাতালে হিমুর গলায় স্পষ্ট দাগ দেখা যায়। তারা দ্রুত হিমুর বন্ধুকে খুঁজে বের করে ঘটনার সঠিক রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।
পুলিশ জানায়, তারা বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌঁনে ৯টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। অভিনেত্রীর বাবা-মা বেঁচে না থাকায় স্বজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে লাশ দাফনের জায়গা নির্ধারণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুরের মেয়ে হুমায়রা হিমু মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’-তে প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ছোটপর্দায় পেয়েছেন দারুণ জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি। কমেডি গল্পের নাটক মানেই হুমায়রা হিমু।
ছোটপর্দার পাশাপাশি হিমু ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রেও পা রাখেন। সম্প্রতি দেওয়ান নাজমুলের পরিচালনায় ‘তোরে কত ভালোবাসি’ নামে একটি সিনেমার কাজ শেষ করেন হিমু।
(ঢাকাটাইমস/০২নভেম্বর/এলএম/কেএম)

মন্তব্য করুন