মা কইয়া গো কওয়ার সুযোগ পাবেন না: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এইবার ক্ষান্ত দেন৷ নির্বাচনে আপনার মা আসতে চায়, ফখরুল সাহেবরাও চান নির্বাচনে আসতে। তাদেরকে আসতে দেন। মানুষের কাছে ভোট চান৷ মানুষ যদি ভোট দেয় তাহলে আপনারা ক্ষমতায় আসবেন৷ কিন্তু যদি লন্ডনে বসে পাকিস্তানের দাউদ ইব্রাহিমের মতো করেন, তাহলে লন্ডনেও কিন্তু ধরার মতো বাঙালি কম না। মা কইয়া গো কওয়ার সুযোগ পাবেন না৷
সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হরতালের বিরুদ্ধে শান্তি মিছিল শেষে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷
তাকে ফোন করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, 'গতকাল একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে আমাকে বলা হয়েছে 'তোর মৃত্যু সামনে। মিছিলের মধ্যে তোকে গুলি করে মারা হবে৷' আমি বলেছি, তোরা দশ হাজার আর আমি একজন শামীম ওসমান সমান৷ কবে কোথায় মারবি বল। কাপুরুষের মতো পেছন থেকে হামলা না করে সামনাসামনি মোকাবিলা কর৷ আমরা মৃত্যকে ভয় পাই না। মৃত্যুকে মারার জন্যই তৈরি হয়েছি৷'
যথাসময়েই নির্বাচন হবে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ৭ তারিখ পর্যন্ত ওয়েট করেন৷ নির্বাচন হবে এবং শেখ হাসিনাই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন৷ আগামী নয়দিন ভীষণ ক্রিটিক্যাল৷ ওরা খুব চেষ্টা করছে৷ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমাদের অনেক মানুষকে মেরেছে। আমরা কাউকে ফুলের টোকাও দিইনি। কেবল আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি, আল্লাহই বিচার করেছেন৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হিমালয়ের সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, 'একটি বড় দেশ সেন্টমার্টিন আর বঙ্গোপসাগর খেতে চায়৷ আরে কার কাছ থেকে খাবেন? শেখ হাসিনা হিমালয় পর্বতের মতো শক্ত৷ উনাকে মাথা নত করাইতে পারবেন না৷ জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বাড়ছে৷ যারা দাম বাড়িয়েছেন, তাদের অবস্থা করুণ হবে৷
তারেককে গাড়ির নিচে ফেলা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভেবেছিলাম হরতাল হবে, গাড়ি-ঘোড়া থাকবে না৷ এই ফাঁকে একটা মিছিল করি৷ এখন দেখি রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া ভরা৷ এই গাড়ি-ঘোড়ার তলে আইনা তারেক জিয়ারে ফালানো দরকার। গতকাল তারেক ডায়লগ দিল, কারা কারা মাঠে অনুপস্থিত তাদের লিস্ট হবে৷ আরে শালা তুই তো নিজেই অনুপস্থিত৷ যদি বাপের ব্যাটা হয়ে থাকোস, তুই আয়৷ তোর মা মরে, তুই খবর নেস না, জনগণের খবর নিবি কেমনে। মনে হয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু হয়ে গেছে৷
প্রভাবশালী এই সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনা আমাদেরকে মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন৷ এমপি- মন্ত্রী হওয়া আমার উদ্দেশ্য না। আল্লাহকে খুশি করে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে চাই। মৃত্যুর পরে আমার জন্য যেন মানুষের চোখে দুই ফোটা পানি আসে৷ এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ফতুল্লায় কোনো কাজ বাকি থাকবে না৷
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বাবু চন্দন শীল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলি, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু প্রমুখ৷
(ঢাকা টাইমস/২০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন