ডিসেম্বরের শুরুতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাব কাটতে না কাটতেই আসছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। ইতোমধ্যে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপটি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। শেষপর্যন্ত নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘মিগজাউম’।
সোমবার রাতে আবহাওয়া ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি মঙ্গলবারের (২৮ নভেম্বর) মধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও বুধবারের (২৯ নভেম্বর) মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, নিম্নচাপটি ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ও ডিসেম্বর মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে (মিগজাউম/মিচাহং) পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ডিসেম্বর মাসের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলে থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকার উপকূলে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্ভাবনা রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়টিও একই পথে উপকূলে আঘাত করার, যে পথে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। অর্থাৎ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যবর্তী উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইডিএম) আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, আন্দামান সাগরে চলতি সপ্তাহে একটি লঘুচাপ ঘনীভূত হতে পারে। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে গত রবিবার সকালেই দক্ষিণ আন্দামান সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটা লঘুচাপে পরিণত হয়। লঘুচাপটি এখন ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইডিএম।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এরপর সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’।
(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এমআর)