ওবায়দুল কাদের আর ইসি মিলে মাকাল ফল মার্কা নির্বাচন চাচ্ছে: নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৪০
অ- অ+

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের আর নির্বাচন কমিশন মিলে মাকাল ফল মার্কা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। জনগণ এই মাকাল ফল মার্কা নির্বাচন প্রতিহত করবে।’

রবিবার দুপুরে তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ৯ম দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাবেশের আগে পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি মিছিল পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে মিলিত হয়। পরে সংক্ষিপ্ত এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক নুর বলেন, ‘এক ব্যক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে আজকে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারের একঘেয়েমির কারণে ৯০ এর পর থেকে ৩ দশকে তিলে তিলে গড়ে ওঠা রপ্তানির বড় খাত গার্মেন্টস শিল্প এখন ঝুঁকিতে। পাট, চিনি, চামড়ার পর সরকারের কারণে গার্মেন্টস শিল্পও আজ ধ্বংসের পথে। ইউরোপ-আমেরিকা পরিষ্কারভাবে বলছে, শ্রমিকদের সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সুশাসন না থাকলে তারা বাণিজ্য অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা দিবে।’

ঢাকা মহানগর ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইমতিয়াজ বুলবুলের ঘটনা উল্লেখ করে ভিপি নুর বলেন, ‘অন্যায়ভাবে বিএনপি নেতা বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। মারার পর চুপিসারে দাফন সম্পন্ন করেছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এই ফ্যাসিবাদ হঠাতে হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত-হেফাজত, বাম-ডান সকলকে এক হয়ে পাড়া-মহল্লায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণঐক্য গঠন করতে হবে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করলে আজ আমাদের সমস্যা কোথায়? জামায়াতের মতো শক্তিকে বাইরে রাখা যাবে না। যারা বিভাজনের কথা বলছেন তারা প্রকারান্তরে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমাদের এ লড়াই কারও বিরুদ্ধে নয়, এ লড়াই দেশের অস্তিত্ব রক্ষার, এ লড়াই নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে শত ফুল ফুটবে, কিন্তু ফুল ফুটেছে? বরং বিএনপির একজন নেতাকে কারাগারে নিয়ে জিম্মি করে নৌকায় উঠানো হয়েছে। এভাবেই বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে জিম্মি করে, হয়রানি করে নির্বাচনে নেওয়া হচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদকেও জিম্মি করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু আমরা মাথানত করি নাই।

উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম বলেন, ‘সরকার জোর করে, ভয় দেখিয়ে বিরোধী জোটের নেতাদের একতরফা নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করার অপচেষ্টা করছে। তাতে সফল না হয়ে অখ্যাত ও জনবিচ্ছিন্নদের নিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন। সরকার যেমন নিজে জনবিচ্ছিন্ন, তেমনি জনবিচ্ছিন্নদের দিয়ে, সরকারের উচ্ছিষ্টভোগীদের দিয়ে আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু কোনো কিছুতেই লাভ হবে না। এদেশে একতরফা নির্বাচন আর হবে না, হতে দেওয়া হবে না।

সমাবেশের সঞ্চালনা করেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, ফাতিমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, সিনি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, জিলু খান,যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সাব্বির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা।

(ঢাকাটাইমস/০৩ডিসেম্বর/জেবি/জেডএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সম্পদের হিসাব ফেসবুকে দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
পাবনার রমা দাশগুপ্ত থেকে টলিউডের মহানায়িকা সুচিত্রা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণে সেনাবাহিনী, প্রজ্ঞাপন জারি
শীতে ঠান্ডা পানি খেলে ওজন বাড়ে! কতটা সত্যি? কী বলছেন পুষ্টিবিদরা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা