গাইবান্ধায় জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ
গাইবান্ধা পৌরসভার কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ছত্রছায়ায় জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে প্রেস ক্লাব গাইবান্ধা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন আবুল হোসেন নামে একজন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবুল হোসেন উল্লেখ করেন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল হোসেনের নির্দেশে বিপ্লব মিয়া, পিপুল মিয়া, হাছেন আলী, হোসেন আলী, খলিল মিয়া, সাজু মিয়া, আব্দুল জলিল মিয়াসহ আরও ২০ থেকে ২৫ জন দীর্ঘদিন থেকে আমার জমি দখলের চেষ্টা করে আসছেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর কামাল হোসেনকে একাধিকবার বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা বললেও তিনি উলটো আমাদেরকেই নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীদের দিয়ে নানাভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন। একই সঙ্গে আমার জমি তিনি ৫০ হাজার টাকা শতকে ক্রয়ের প্রস্তাব দেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী আবুল হোসেন দীর্ঘ দিন ধারে উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছেন। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আবুল হোসেন বাদী হয়ে আদালতে মামলাও করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে ৯৯৯ নাম্বারে অভিযোগ দিয়েও পুলিশকে পাওয়া যায়নি। এমনকি গাইবান্ধার সদর থানার অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। পরে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
জমিজমা সংক্রান্ত এ ঘটনায় বিবাদী পক্ষের খলিল, জলিল, হাসেন, হোসেন ও সাজু বলেন, এসব জমি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে কেনা। আমাদের জমিতে আমরা বসবাস করছি। উপরন্তু আবুল হোসেনসহ তার লোকজনেরা আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করেছে। প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ ডিসেম্বর মারামারি, গলায় ছুরি ধরা, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, লুটপাট বা কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রকৃত সত্য এই যে, এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাউন্সিলর কামাল হোসেনের বাসায় দুই দফায় মিটিং হয়। মিটিংয়ে আবুল হোসেন ও তার লোকজন কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এজন্য কাউন্সিলরকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ভুয়া ও ভিত্তিহীন।
(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/ইএইচ)