দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক বছরে ৭শ নরমাল ডেলিভারি
সিজার ছাড়াই স্বাভাবিক সন্তান প্রসব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ফেনীর দাগনভূঞায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই প্রসূতিরা স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭১২টি নরমাল ডেলিভারি করানো হয়েছে। এর মধ্যে নভেম্বর মাসে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ১০২টি এবং সিজারের মাধ্যমে হয়েছে ৬২টি। বছর শেষ হতে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা সাড়ে ৭শ পার হবে বলে ধারণা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি সনদ দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে সহজেই জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন তারা। সকলের সহযোগিতা পেলে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে কর্মরত চিকিৎসকরা জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ নার্সদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
দাগনভূঞা ইয়ুথ সোসাইটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী ইফতেখারুল আলম জানান, গর্ভবতী মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করায় নিয়মিত নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে একই সঙ্গে গর্ভবতী মায়েদের সরকারি স্বাস্থ্য সেবার প্রতি আস্থা বাড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারি হওয়া মোমারিজপুর গ্রামের নুর বানু, বরইয়া গ্রামের ফাহমিদা সুলতানা, মহেশপুর গ্রামের দিনা রানি দাস ও মাতুভূঞা এলাকার ফারজানা আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে তাদের নরমাল ডেলিভারিতে ভয় লাগলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঠকর্মী ও চিকিৎসকদের আশ্বাসে হাসপাতালে এসে নিরাপদে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। এতে তাদের একদিকে যেমন খরচ বেঁচেছে অন্যদিকে প্রসবকারী মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন।
(ঢাকা টাইমস/২৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস)