নোয়াখালীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত, আহত ৮
নোয়াখালীতে যাত্রীবাহী বাস চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন লিটন চন্দ্র দেবনাথ (৫০) ও তার ছেলে প্রান্ত চন্দ্র দেবনাথ (১০)। এ সময় আহত হয়েছেন নিহত লিটনের ছেলে প্রতাপ চন্দ্র দেবনাথসহ আরও ৮ জন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ী সড়কের জুনুদপুর পোলের গোড়া এলাকায় ‘জননী’ সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিটন চন্দ্র দেবনাথ জয়াগ ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের সুনিল ডাক্তার বাড়ির সুনিল চন্দ্র দেবনাথের ছেলে। অপর আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি, তবে তারা সবাই বাসযাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে জননী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। পথে বাসটি রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ী সড়কের জয়াগ ইউনিয়নের জুনুদপুর এলাকায় সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মোটরসাইকেলে থাকা লিটন ও প্রান্ত ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং প্রতাপ আহত হয়। এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খালে পড়ে যায়। এতে বাসে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সোনাইমুড়ীর বজরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রতাপ চন্দ্র দেবনাথকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে বজরা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকা টাইমস/২৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস)