ফিরে দেখা আ.লীগ সরকারের ১৫ বছর

নানা চাপ সামলে যুগান্তকারী পরিবর্তন 

জাফর আহমেদ, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:০৩ | প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৭

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন করার পরে আরও একবার তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে উন্নয়ন অগ্রগতিতে। এমন দাবি করে আসছে ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতারা।

সাফল্য আর উন্নয়নের ফানুস উড়িয়েই টানা তৃতীয় মেয়াদের ক্ষমতার পঞ্চম বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা উপমহাদেশের এই প্রবীণ দলটি বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে।

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। বর্তমান সরকারের একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশের সেক্টরে উন্নতি করা আর সেটাই করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এই সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত।

উন্নয়নের অগ্রযাত্রা: টানা ১৫ বছরে দেশের রাজনীতিসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ শেখ হাসিনার হাতে থাকলেও সে পথ মসৃণ ছিল না। জ্বালাও-পোড়াও, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র, বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগোতে হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এমন কোনো খাত নেই যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মাতৃত্ব এবং শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। নানা সমালোচনা ও বাধা ডিঙিয়ে বর্তমান সরকার যোগাযোগখাতে যেসব উন্নয়ন করেছেন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশের প্রায় প্রতিটি মহল।

বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ না দিলেও প্রমত্তা পদ্মার ওপরে সেতু তৈরি করে সরকার দেখিয়ে দিয়েছে- চাইলে বাঙালি কিনা পারে! বিশেষ করে পদ্মা সেতু ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার আরও বড় বড় মেগা প্রকল্প নিয়ে সফলভাবে তা বাস্তাবয়ন করেছেন।

বঙ্গবন্ধু টানেল: বাণিজ্যিক রাজধানীর চট্টগ্রামে দীর্ঘ ৩.৩২ কি:মি তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। যা দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশ প্রথম ও দীর্ঘতম।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: বহুমাত্রিক জ্বালানির ব্যবহার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জ্বালানির ওপর নির্ভরতার কমানোর জন্য সরকার পাবনার রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।

ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: বর্তমান সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকা ইপিজেড ও উত্তর বঙ্গের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরে যোগাযোগ সহজ করার পাশাপাশি যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৬.৭৩ কি: মি দৈর্ঘ এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

মাতার বাড়ি সমুদ্র বন্দর: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বন্দর সক্ষমতা বাড়তে দীর্ঘ ১৪.৩ কি:মি, ৩৫০ মিটার প্রসস্ত ও ১৮.৫ মিটার গভীরতায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হয়। এই বন্দরে ৮ হাজার ২০০ কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে। এই সমুদ্র বন্দর পূর্ণাঙ্গ অপারেশন গেলে জাতীয় জিডিপিতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হবে ১.১৪ শতাংশ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল: ২ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। যার বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ১২ মিলিয়ন। পুরো দমে এই টার্মিনাল চালু হলে বার্ষিক যাত্রীর ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে, যা দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বড় ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা মেট্রোরেল: ঢাকায় এখন স্বস্তি দায়ক যাত্রার নাম মেট্রোরেল। ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কি:মি মেট্রোরেল উদ্ধোধন করা হয়েছে। পুরো দমে চালু হলে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬০ হাজার এবং প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। এমআরটি লাইন ৬ এর পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে পাতাল রেলসহ আরও পাঁচটি রুটে মেট্রোরেল তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

পদ্মাসেতু: পদ্মা সেতু বর্তমান সরকারের যোগাযোগ খাতের সবচেয়ে বড় অর্জন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরই পদ্মা সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপর ২০০১ সালে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন তিনি। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর পদ্মা সেতুর চূড়ান্ত নকশার অনুমোদন দেয়া হয়। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতু যার পুরোটাই দেশের টাকায়।

একদিনে একশ সেতু ও সড়ক উদ্বোধন: বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও একদিনে একশ সেতু ও সড়কের উদ্বোধন হয়েছে কি না বলা দুষ্কর। চলতি বছরে এক সঙ্গে একশ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রার মাধ্যমে ২০৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ।

২০০৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থনীতির পরিবর্তন: আওয়ামী লীগের আমলে ৭.২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যা বিএনপির আমলে ছিল ৫.৪০ শতাংশ।

মাথাপিছু আয়: মাথাপিছু আয় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭৭৯ মার্কিন ডলার হয়েছে। বিএনপির শাসন আমলে মাথাপিছু আয় ছিল ১৭২৪ মার্কিন ডলার।

মূল্যস্ফীতি: বিএনপির শাসন আমলে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশ। ২০১৯ সালে ৮.৮৯ শতাংশ, ২০২০ সালে, ৫.৫৯ শতাংশ, ২০২১ সালে ৫.৫৫ শতাংশ।

বাজেট: বিএনপির আমলে ২০০৬ সালে বাজেট ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আসার পর ২১ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ লাখ, ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।

জিডিপি: বর্তমান সরকারের আমলে জিডিপির আকার ৫০. ৩১ লক্ষ্য কোটি টাকা। যা ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে ছিল ৪ লক্ষ্য ১৫ হাজার ৭২ কোটি টাকা। জিডিপির বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থা এখন ৩৫ তম।

বৈদেশিক মুদ্রা: বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩০.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ২০০৬ সালে যা বিএনপির আমলে ছিল. ৭৪৪ মার্কিন ডলার। এছাড়া বাংলাদেশে ব্যাংকের ৪৮ থেকে ৬১ টি করা হয়েছে।

রপ্তানি আয়: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ গুণ। ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে ছিল ১০.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের আমলে আছে ৫২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে বার্ষিক রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ গুণ। ২০০৬ সালে ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল বিএনপির আমলে। বর্তমানে ২৪.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আমদানি ব্যয়: ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে আমদানি ব্যয় ছিল ১৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআই: বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআই ৩.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে ছিল ০.৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা বিএনপির আমলে ২০০৬ সালে ছিল ৩৭,৮৭০ কোটি টাকা। শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির করা হয়েছে প্রায় ৯ গুণ। বর্তমানে একজন শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি ১২,৫০০ টাকা। যা ২০০৬ সালে ছিল ১৪৬২ টাকা।

দারিদ্রের হার: বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্রের হার কমেছে অর্ধেক। ২০০৬ সালে দারিদ্রের হার ছিল ৪১.৫১% বর্তমানে ১৮.৭%। অতি দারিদ্রের হার কমেছে প্রায় ৫ গুণ। ২০০৬ সালে অতি দারিদ্রের হার ছিল ২৫.১% বর্তমানে ৫.৬%। এছাড়া দেশের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল বেড়েছে। বর্তমানে ৭২.৮ বছর।

শিশু মৃত্যুর হার (প্রতি হাজারে): বাংলাদেশ শিশু মৃত্যুর হার কমেছে ৪ গুণ। ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে শিশু মৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ৮৪ জন, বর্তমানে২১ জন।

মাতৃমৃত্যু হার (প্রতি লক্ষে): ২০০৬ সালের তুলনায় বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার কমেছে আড়াই গুণ। প্রতি লক্ষে ছিল ৩৭০ জন, এখন কমে ১৫৬ জন হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ গুণ। ২০০৬ সালে ছিল ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট, বর্তমান২৮ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। বর্তমান সুবিধাভোগীর সংখ্যা শত পারসেন্ট। ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২৯৮ কোটি টাকা। বর্তমানে ৪২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। এছাড়া জ্বালানি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা। বর্তমানে ৬শ হাজার ২৩২ কোটি টাকা।

স্বাক্ষরতার হার: বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭৬.৮ শতাংশ, যা ২০০৬ সালে ছিল ৪৫ শতাংশ। স্বাক্ষরতার হার ২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমিক শিক্ষার হার ঝড়ে পড়ার হার ছিল ৪৯ শতাংশ, যা কমে এখন হয়েছে ১৪.১৫ শতাংশ। ৪ গুণ হ্রাস পেয়েছে।

খাদ্য: দানাদার শস্যের উৎপাদন ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৬ সালে ছিল ১কোটি ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন,বর্তমানে ৪ কোটি ৯২ লক্ষ ১৬ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ২৬০৫৫ কোটি টাকা, যা ২০০৬ সালে ছিল ১১৭০ কোটি টাকা। এছাড়া বর্তমানে সরকার সারে ২৫ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা ভর্তুকির দিচ্ছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ: মোট জনগোষ্ঠীর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৭৮.৫৫ শতাংশ। ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে যা ছিল .০২৩ শতাংশ। ডিজিটাল সেবা সংখ্যা (সরকারি সংস্থা) আগে ছিল ৮টি বর্তমান সরকারের আমলে ৩ হাজার ২০০টির বেশি। বর্তমানে ১৮ কোটি ৮৬ লক্ষ ৪০ হাজার সক্রিয় মোবাইল ফোন সিম ব্যবহার করেন।

সামাজিক নিরাপত্তা খাত: খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসংস্থান কর্মক্রমের উপকারভোগী সংখ্যা শতগুণ বৃদ্ধি পেয়ে, ৪ কোটি ৬১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৫৬ জন। বিএনপির আমলে ২০০৬ সালে ছিল ৪ লক্ষ ৩০ হাজার জন। ভিজিএফ, ভিজিডি, ভিডব্লিউবি, টিআর, জিআর, কাবিখা, কাবিটা, ইজিপিপি, ওএমএস, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি। উপবৃত্তি কার্যক্রমের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ১০ হাজার৭৫৬ জন শিক্ষার্থী। যা ২০০৬ সালে ছিল শূন্যের কোঠায়। এছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে ১১৫ টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য সেবাখাত: ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ছিল ৩৩৫৭৯টি তার ২গুণ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তৃমানে ৭১ হাজার। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৮৪টি। সরকারি মেডিকেল কলেজ সংখ্যা ৩৭ টি, যা বিএনপির আমলে ছিল ১২টি। বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭২টি। বিশেষায়িত হাসপাতালে সংখ্যা ২ গুণ বৃদ্ধি করে ১৫ টি করা হয়েছে, যা বিএনপির আমলে ২০০৬ সালে ছিল ৮টি। একইভাবে ২ গুণ বৃদ্ধি করে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের সংখ্যা করা হয়েছে ৪৩১টি।

ভূমিহীন ও গৃহহীন: ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পূর্নবাসন প্রায় ৪২ লক্ষ ৮০ হাজার ১১৫ জন (৮ লক্ষ ৪১ হাজার ৬২৩ পরিবার)। ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ২১টি,এছাড়া ৩৩৪টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে।

গামের্ন্টস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: ২০০৬ সালে বাংলাদেশ গামের্ন্টস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার। বর্তমান সরকারের আমলে ৭১৭৬টি। এতে বেকারত্বের হার কমেছে অর্ধেকে। এখন বেকারত্বের হার ৩.৪১ শতাংশ। যা ২০০৬ সালে ছিল ৬.৭৭ শতাংশ। বর্তমান সরকার আমলে কর্মসংস্থান ২গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭কোটি ৭ লক্ষ ৩০ হাজার।

সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন অগ্রগতি বাংলাদেশকে পাল্টে দেওয়া সেটাই করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যত উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আর কোনো সরকার তা করতে পারেনি।

(ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/জেএ/আরআর/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

তীব্র তাপপ্রবাহে জাপার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করবে জনগণ: প্রিন্স

কাল্পনিক কাহিনি বানিয়ে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন: দুদিনে আ.লীগের ১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পদ প্রাপ্তি নিয়ে নানা গুঞ্জন, প্রশ্ন

গরমে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে জাপার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠীর রোল মডেল, অভিযোগ রিজভীর

নেত্রীর জন্য জান নয়, সিদ্ধান্ত মানুন: দীপু মনি

দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় বিএনপি, আ. লীগ করে চুরি: ইশরাক

লুটপাট লুকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: রিজভী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :