দিনাজপুরে জনপ্রিয় হয়েও যে কারণে নৌকার পাল তুলতে পারেননি মনোরঞ্জন শীল

নিজস্ব প্রতিবেদক (দিনাজপুর), ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫ | প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৫

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর (বীরগঞ্জ-কাহারোল)-১ আসনের চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য পরিচিত মুখ মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবার নৌকার পাল তুলতে পারেননি। ট্রাকের ধাক্কায় ধরাশায়ী নৌকা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছেই তাকে হারতে হয়েছে। তার এই পরাজয় নিয়ে দলটির নেতাকর্মী এছাড়াও অনেকে অবাক হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাপটে তিনি হেরেছেন।

জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের ঘোষিত ফলাফলে দিনাজপুর (বীরগঞ্জ-কাহারোল)-১ আসনে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাকারিয়া এক লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোরঞ্জনশীল গোপাল পেয়েছেন এক লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ ভোট।

এছাড়াও লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাহীনুর ইসলাম ৪৮৬ ভোট, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির আব্দুল হক ৩৩৭ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৮৭ ভোট পেয়েছেন।

এ আসনে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রয়াগ করেছেন, ২ লাখ ২৫ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৬০২ ভোট। ভোট প্রদান ৫৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিএনপির বর্জনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাকারিয়া জাকার কৌশলে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বেশি ছিলো এই আসনে।

এবার এ আসনে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৬০২ ভোট। ভোট প্রদান ৫৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। যা দিনাজপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে ভোটার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালকে পরাজিত করতে বিএনপি এবং জামায়াতের একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া জাকাকে ভোট দিয়েছেন।

এছাড়া মনোরঞ্জন শীল গোপাল ভেবেছিলেন তিনি ছাড়া তার আসনে স্থান দখল করার আর যোগ্য ব্যক্তি নেই। এ কারণে তিনি মিডিয়ার লোকজনদেরকে তেমন কর্ণপাত করতেন না। এমনটাই বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিনাজপুরের একজন বর্ষিয়ান সাংবাদিক।

এজন্য বড় মাশুল দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপালকে। নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এবং জামায়াতের কিছু অংশ ভোটারের সমর্থন এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং চারবারের সংসদ সদস্য জনপ্রিয় ব্যক্তি মনোরঞ্জন শীল গোপালকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া জাকা ।

কিন্তু ট্রাক প্রতীকের বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকারিয়া জাকার সমর্থক তা উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, এবার নির্বাচনের রায় হয়েছে অন্যায়-জুলুম-দুর্বৃত্তয়ানের বিরুদ্ধে। সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ ভোট হওয়ায় সাধারণ ভোটাররা মতামত প্রকাশ করতে পেরেছেন। জাকারিয়া জাকা ২০ বছর ধরে বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে থাকেন। কিন্তু মনোরঞ্জন শীল গোপাল ২০ বছর থেকে এলাকার সংসদ সদস্য থাকলেও ২০ দিনের কেনো একদিনও এলাকায় রাত্রিযাপন করেননি। তিনি থাকেন শহরে। শহরেই তার অফিস। তার সঙ্গে জরুরি দেখা বা প্রয়োজন হলে সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে হয়। স্বাক্ষাৎ পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। দুপুরের আগে তাকে কখনো অফিসে পাওয়া যায় না। তাই এলাকার মানুষ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :