লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসনে জামানত হারালেন ২৪ প্রার্থী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসনে জামানত হারিয়েছেন ২৪ জন প্রার্থী। জেলায় এ নির্বাচনে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এরমধ্যে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে চারজন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ১৩জন প্রার্থীর মধ্যে ১২জন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে চারজন এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে চারজন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

লক্ষ্মীপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান ৪০ হাজার ৯৪ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য (স্বতন্ত্র) হাবিবুর রহমান পবন পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট।

এ আসনে জামানত হারিয়েছেন এমএ গোফরান (স্বতন্ত্র) ৩৪০ ভোট, নিয়াজ মাখদুম ফারুকী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট) ৪১০ ভোট, মোশারফ হোসেন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) ২৭৬ ভোট এবং মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ (জাতীয় পার্টি) ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নৌকা মার্কায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এক লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনেই তার স্ত্রী লুবনা পেয়েছেন ৩৪৫ ভোট। নয়নের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের সেলিনা ইসলাম জামানত হারিয়েছেন। তিনি নয় হাজার ২৮ ভোট পেয়েছেন। অন্য ১০ প্রার্থীর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির আবদুল্লাহ আল মাসুদ ৩২০ ভোট, ট্রাক প্রতীকের এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ ৯০৩ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির জহির হোসেন ৩৫২ ভোট, জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু দুই হাজার ৩৮৬ ভোট, মশাল প্রতীকের আমির হোসেন ২৩৯ ভোট, ছড়ি প্রতীকের ইমাম উদ্দিন সুমন ৭১ ভোট, হাতঘড়ি প্রতীকের ফরহাদ মিয়া ৩২৮ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনসুর রহমান দাদন গাজী ৮৮ ভোট, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোরশেদ আলম ৫৪৫ ভোট ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শরীফুল ইসলাম ৬০১ ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যে ভোটের একদিন আগে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনসুর ও ছড়ি প্রতীকের সুমন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। লুবনাসহ এ আসনে ১২ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ৫২ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি (স্বতন্ত্র) এম এ সাত্তার পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২৮ ভোট।

এ আসনে জামানত হারিয়েছেন মুহাম্মদ রাকিব হোসেন (জাতীয় পার্টি) ৪৭৩ ভোট, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) ৩৮২ ভোট, মোহাম্মদ নাঈম হাসান (তৃণমূল বিএনপি) ২৮৯ ভোট, মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম টিপু (বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি) ১১৫ ভোট। এ আসনে ভোটের একদিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন।

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে ভোট করে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। আবদুল্লাহর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহসভাপতি মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮১০ ভোট। আসনটির অন্য তিন প্রার্থীর মধ্যে ট্রাক প্রতীকের ইস্কান্দার মির্জা শামীম সাত হাজার ৪৭৪ ভোট, রকেট প্রতীকের আবদুস সাত্তার পালোয়ান ৬৪৯ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মাদ ছোলায়মান ৩২০ ভোট পেয়েছেন। মাহমুদাসহ এ আসনে চারজন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। যারা কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, জামানত বাজেয়াপ্ত নিয়ে এখনো কাজ শুরু করিনি। তবে যারা পর্যাপ্ত ভোট পাননি, নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।

(ঢাকা টাইমস/০৯জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :