কালিয়াকৈরে ফসলি জমি ও নদীপাড়ের মাটি পাচারের হিড়িক, নীরব প্রশাসন 

আশিকুর রহমান, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
 | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রশাসনের নীরবতায় ফসলি জমি ও নদী পাড়ের মাটি কেটে পাচারের হিড়িক পড়েছে। রাতের আঁধারে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এসব স্থানের মাটি কেটে পাচার করছে অবৈধ ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে জমি ভরাটের কাজে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আঞ্চলিক সড়ক, সেতু, তিন ফসলি জমিসহ আশপাশের পরিবেশ। তবে এসব ঘটনায় নীরব রয়েছে প্রশাসন।

সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এ জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সেওড়াতলী এলাকার শফিকুল ইসলাম নামে এক মাটি ব্যবসায়ী বংশাই নদীর পাড়সহ ফসলি জমি থেকে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ভারি যানবাহনের মাধ্যমে তা বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। পাশেই রয়েছে দুই জেলার যোগাযোগের প্রধান ধামরাই-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক। নদীর তীর কেটে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়ায় হুমকিতে পড়ছে সড়কটি। অন্যদিকে কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে ডুবাইল বাজার থেকে দেওয়াইর বাজার পর্যন্ত নবনির্মিত সড়ক ও একটি সেতু ভাঙণের ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত মাটি খননের ফলে আশপাশের বহু কৃষি জমি ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে। এতে কৃষিখেতের ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষমতাবান, তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। তাদের কারণে আমাদের এই এলাকার সড়ক ও ব্রিজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

জানা গেছে, অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে ১ মাস আগেও ওই স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কালিয়াকৈর উপজেলা প্রশাসন। এসময় ৪টি ভেকু জব্দ ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় মাটি ব্যবসায়ীদের। তবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ফের একই স্থানে মাটি খননে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি মুঠোফোনে ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদককে বলেন, ঠিক আছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :